চবি দর্শন বিভাগের মেধাবী ছাত্র ওয়াহিদ সুজন এমএ পরীক্ষা দিয়েছে ২০০৭ সালে। আজ ২০১৪ সালের এমএ পরীক্ষার ডিউটি করার সময় ছাত্রদের ওয়াশরুমে গিয়ে তার করা নোটের ফটোকপি পেলাম। আপনারা যা-ই ভাবুন না কেন, আমার কিন্তু ভালোই লেগেছে…!!! সাথে ‘কন্ডিশনাল থিওরির’ উপর আরেকটা ‘মাইক্রোসকপিক নোট’। রেকর্ড পরিমাং এ-প্লাসের যুগে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরাও দেখা যাচ্ছে আপন আঙ্গিকে ‘সৃষ্টিশীলতায়’ ব্যস্ত। মাশাআল্লাহ, ৫০ নম্বরের খাতায় ৬০-৭০ পৃষ্ঠা লেখা। মাস্টারের মজুরি ১৩ টাকা। উপরে তিন ইঞ্চি, আর পাশে দেড় ইঞ্চি করে মার্জিন। প্রতি লাইনের মাঝে পৌনে এক ইঞ্চি করে ফাঁক। ফলাফল: impression marking তথা মুখস্ত নম্বর। অবশেষে শতকরা শত ভাগ বড় বড় পাশ। পরিণতিতে দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের সর্বনাশ। এক ক্লাসে ১০০/১৫০ স্টুডেন্ট নিয়ে ‘উচ্চ শিক্ষা’ দেয়ার এহেন অপকর্মের নজির দুনিয়ার কোথাও কি আছে? এতো পাশ দিয়ে কী হবে? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামক ‘—‘ প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিলে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হতে ফি বছর পাঁচ শতাধিক ‘ফিলোসফি মাস্টার’ বের হচ্ছেন। লক্ষ লক্ষ ‘আলেমে দ্বীন’ যেমন এ দেশে কিছু করতে পারছেন না, তেমন করে লক্ষ লক্ষ ফিলোসফারও কিছু করতে পারছেন না। পারার কথাও নয়। যা কিছু কৃতিত্ব বা লাভ, তা হলো ক্যাম্পাসের অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফটোস্ট্যাট মেশিনগুলোর মালিকদের। যেমনটি আমি স্টুডেন্টদেরকে বলে থাকি: এ পাশ + ও পাশ = পাশ !!!
এতো পাশ দিয়ে কী হবে? কী দরকার?