আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। চবির অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোর কোনোটিই অফিস সময়ের আগে ক্যাম্পাসে ইন করে না। আবার দুপুর সোয়া দুইটায় অফিস সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুইটার মধ্যে অফিস খালি হয়ে যায়।
ক্লাশ ছাড়া সব কাজের জন্য শিক্ষকরা কিছু না কিছু সম্মানী পান। বেতন-ভাতার পুরোটাই ক্লাশের জন্য। অথচ, যে কোনো অজুহাতে ক্লাশ মিস করাটা শিক্ষকদের একটা সাধারণ অভ্যাস, ব্যতিক্রম ছাড়া।
বিশাল চবি ক্যাম্পাসে অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েরা আসে। প্রায়শই তারা ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হারিয়ে যায়।
সব মিলিয়ে সময় ও সামর্থ্যের এক উৎকট নমুনা হলো আমার প্রিয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। কবে নাগাদ এসব বন্ধ হবে? যদি বর্তমান ভিসি প্রফেসর আবু ইউসুফ ফেল করেন, তবে আসমান থেকে ফেরেশতা আসলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উন্নতি হবে না।