কিছুদিন আগে আমি ‘ঈশ্বরের ভালোবাসা নিঃশর্ত নয় কেন?’ এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। এরপর আমি আলোচনা করেছি ‘নাস্তিকেরা ভালো মানুষ হতে পারে কিনা’ এই বিষয়ে। কিছু বিষয় ক্লিয়ার না হওয়ায় এরপরে আমি আলোচনা করেছি ‘শুদ্ধ ইসলাম ও ভালো মানুষ হওয়ার সমস্যা’ নিয়ে। এইসব আলোচনার ধারাবাহিকতায় আজকের এই আলোচনা।

এতে আমি দেখিয়েছি, নৈতিকতার সাথে নাস্তিকতা ও আস্তিকতার সম্পর্ক অকেশনাল। আমাদের ফিলোসফির ভাষায় contingent। অর্থাৎ নট নেসেসারি। একজন নাস্তিক সত্যিকারের ভালো মানুষ হতে পারেন। যেটা আমরা আমাদের আশেপাশেই দেখি। আবার নাস্তিক্যবাদী চিন্তাধারার কারণে একজন মানুষ যে কোনো লেংথে খারাপও হতে পারে। যেটা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। ইতিহাস হতে যার ভুরি ভুরি নজির আমরা পাই।

আমাদের সমাজে নাস্তিকতা এক ধরনের খারাপ কিছু হিসাবে বিবেচিত হওয়ার কারণে নাস্তিক খারাপ মানুষদের আমরা যেভাবে সহজে দেখতে পাই, নাস্তিক ভালো মানুষদের সেভাবে সহজে চোখে পড়ে না। এটি মুসলিম মেজরিটি বাংলাদেশের বিশেষ অবস্থা।

মজার ব্যাপার হলো, যে কারণে আস্তিকগণ সত্যিকারের নৈতিক হোন, প্রায়োগিক দিক থেকে, মানে প্র্যাকটিক্যালি ঠিক একই কারণে নাস্তিকদের মধ্যকার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ নৈতিক হয়ে থাকেন। উভয়েই মনে করেন, এ জীবনই একমাত্র জীবন। যা কিছু করার, তা এখানেই এবং এখনই করতে হবে। এই জীবনকালের মধ্যেই সব অবদান রেখে যেতে হবে।

যারা জীবনের ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করে, যেমন আস্তিকেরা, আমি যদি আমার উদাহরণ টানি, তাহলে বলতে হয়, আমি মনে করি এবং ধর্মীয়ভাবে জানি, আমার পরবর্তী জীবনে আমার নৈতিক হওয়ার সুযোগ থাকবে না। কাউন্টেবল যা কিছু করার, অর্থাৎ যা যা আমল করার ব্যাপার তা এই জীবনেই করতে হবে। পরবর্তী জীবনে কোনো আমল করা যাবে না। বরং এ জীবনে করা আমলেরই সুফল বা কুফল ভোগ করতে হবে।

অন্যদিকে নাস্তিকদের জন্য ঈশ্বর নামক কোনো উদ্ধারকর্তা বা স্বর্গ নামক কোনো আবাসস্থল না থাকার কারণে তারা নৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠে। একজন সত্যিকারের নাস্তিক সত্যিকারের নৈতিক না হয়ে পারেন না। পাপমুক্তির কোনো পরকালীন ব্যবস্থা না থাকার কারণে সর্বোতভাবে পাপমুক্ত থাকাই তার একমাত্র বিকল্প। নাস্তিকরা চাইলে সত্যিকারের নৈতিক হতে পারে– এ কথাটাতে আস্তিকরা প্রবলভাবে আপত্তি জানাবে। জানি। কিন্তু কথাটা সত্য। ব্যাপার হলো, কেউ ভুলভাবে একটা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারে। আবার সঠিক পথে অগ্রসর হয়েও শেষ পর্যন্ত যেতে না পারার কারণে কেউ ভুল সিদ্ধান্তেও উপনীত হতে পারে।

যেসব আস্তিক মনে করে, ঈশ্বর মহান। তিনি শেষ পর্যন্ত মাফ করে দিবেন, তারা এই ভুলটাই করছেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ইহুদী-খৃষ্টানরা মনে করতো, আমরা দোজখে যাবো না। এমনকি, গেলেও সেটা হবে নিতান্তই সাময়িক। একইভাবে মুসলমানদের অনেকেই এখন মনে করে, তাদের জন্য পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত। তারা দোজখে গেলেও তা হবে নিতান্ত সামান্য সময়ের জন্য। ধর্মবিশ্বাসের এটি অন্যতম ভুল পরিণতি।

এই ভিডিও বক্তব্যে আমি দেখিয়েছি, নাস্তিকদের নৈতিক প্রেরণা ও নৈতিক জীবন যাপনের বিপুল তাড়না তথা নৈতিক দায়বোধ ইত্যাদি সব তাদের নাস্তিকতার বিরুদ্ধে যায়। নিছক জৈবিক প্রতিবর্তী ক্রিয়া বা রিফ্লেক্স অ্যাকশনের বাইরে নৈতিকতা বা মানবতাবোধের যে ব্যাপার, তা প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ করে, মানুষ নিছকই বস্তু নয়, নিছকই প্রাণী নয়। বস্তু ও ইতর প্রাণীর তুলনায় মানুষ বিশেষ ‘একটা কিছু’। মানুষ অসাধারণ। অনন্য। নৈতিকতাই হচ্ছে মানবিক অনন্যতা। নৈতিকতা একটা অবস্তুগত ব্যাপার। সে নৈতিকতা যা-ই হোক না কেন।

আমার দৃষ্টিতে খোদা তায়ালা মানুষকে নৈতিকতা দিয়েছেন যাতে করে সে এমনকি অনিচ্ছাতেও তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। মানুষের জাগতিক উন্নতি ও শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তি হচ্ছে তার জ্ঞান-বিজ্ঞান-ইতিহাস-অর্থনীতি-দর্শন। বলাবাহুল্য, এসব কিছুর শীর্ষতম পজিশনে আছে মোরালিটি বা নৈতিকতা। আমি একটু আগেই লিখেছি, আবার দ্বিরুক্তি করছি, কোন ধরনের নৈতিকতা – আস্তিকতার নৈতিকতা নাকি নাস্তিকতার নৈতিকতা, বাস্তববাদী নৈতিকতা নাকি ভাববাদী নৈতিকতা, উপযোগবাদী নৈতিকতা নাকি অ-উপযোগবাদী নৈতিকতা – মোটকথা, নৈতিকতার বিভিন্ন ধরন, মত, পথ ও তত্ত্ব ইত্যাদি যাচাই ও বিশ্লেষণে না গিয়েই বলতে পারি, নীতিবোধ নামক ব্যাপারটা নিছক একটা মানবীয় বৈশিষ্ট্য। কথাটাকে আরো বৃহত্তর পরিসরে বললে, এটি প্রাণেরই বৈশিষ্ট্য। আত্মার পরিচায়ক।

শেষের দিকে বলেছি, প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ধর্মের অনুসারী। কেউ ধর্ম হিসাবে পরিচিত কোনো বিশেষ ধর্মের অনুসারী। কেউ প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু সেও দিনশেষে বিশ্বাসী। যেমন নাস্তিকেরা মানবধর্মে বিশ্বাসী। আমার সেই পুরনো কথা দিয়েই শেষ করছি: we have to believe to live, no matter what we believe. বিশ্বাস না করাটাও অন্টোলজিক্যালি একটা বিশ্বাস। যেমন বস্তুবাদীরা বিশ্বাস করে, বস্তুবাদ সঠিক। অর্থাৎ তারা বিশ্বাস করে যে বিশ্বাস বলে কিছু নাই! উল্লেখ্য, বস্তুতে সবাই বিশ্বাস করে। যদিও কেউ কেউ বিশ্বাস করে, শেষ পর্যন্ত যা আছে তা বস্তু। অথবা, তারা হয়তো মনে করে, বিশ্বাস হচ্ছে বস্তু হতে উৎসারিত, বা বস্তুর গুণ বিশেষ।

বিশ্বাসীদের নানা ধরনের খুঁত ধরার কাজে প্রথাগত অবিশ্বাসীরা যতটা উস্তাদ, নিজেদের অবস্থানকে ইতিবাচক যুক্তি দিয়ে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করার ব্যাপারে তারা ততটাই পলায়নপর ও অনিচ্ছুক। নিজেদের অস্তিত্বগত প্রশ্নকে তারা যদি খোলা মনে মীমাংসা করতে চায় তাহলে আমার ধারণা অবিশ্বাসী থাকা তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে। তর্কে জেতা এক জিনিস। আর নিজের বিবেক ও একান্তবোধের অনুসরণ করা ভিন্ন জিনিস। আফসোস, কেউ কেউ বিবেকবোধের চেয়ে প্রবৃত্তির অনুসরণকেই প্রেফার করে। একজন সৎ নাস্তিক যদি নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেন, আমার এই নীতিবোধের উৎস কী? কেন আমি এ রকম ফিল করি? আমার এই ভেরি সাবজেক্টিভ ফিলিং তথা কোয়ালিয়ার কারণ কী? তাহলে আমি নিশ্চিত তিনি কোনো না কোনো মাত্রায় আস্তিক হয়ে উঠবেন। এর বিকল্প নাই।

মানুষ জন্মগতভাবে, প্রকৃতিগতভাবে, স্বরূপত, প্রতি মুহূর্তেই অন্তর্গত চিন্তা-চেতনার দিক থেকে আপাদমস্তক আস্তিক। যদিও নানা কারণে কখনো কখনো সে, বা কেউ কেউ প্রথাগত ধর্মে অবিশ্বাসী হয়ে উঠে। কারো ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে, কারো ভালোবাসা হারিয়ে মানুষ যেমন আত্মহত্যার মতো ভুল করে বসে, ঠিক তেমনই নাস্তিকতার কারণ যা-ই থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রতারিত হয়। একজন সত্যিকারের জীবনবাদী মানুষ কখনো নাস্তিক হতে পারে না। যদি সেটা হয়, তাহলে বুঝতে হবে, মোস্ট সারপ্রাইজিংলি, অন্য সব ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরোপকারী ও সৎ আত্মহত্যাকারী যেভাবে চূড়ান্ত মুহূর্তে ভুল করে বসে।

কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, “আচ্ছা বলুন তো, আল্লাহ কোন জায়গায় নাই?” উত্তরদাতা বলেছিলেন, “আল্লাহ কোথায় আছে বা কোথায় নাই, তা সঠিক জানি না। তবে, অবিশ্বাসীর অন্তরে যে তিনি নাই, তা তো নিশ্চিত!” এই উত্তরের সূত্র ধরে বলতে হয়, যার অন্তর কোনো কিছুতে সায় দেয় না, তার জন্য উচিত নয় সেটাকে গ্রহণ করা। এর বিপরীতে, স্রষ্টাবিশ্বাসকে যদি আপনি সঠিক হিসাবে মনে করেন, সব সংশয় ঝেড়ে ফেলে আপনি নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পন করুন। ধর্মবাদীদের কুপমণ্ডুকতা দেখে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। জীবন তো একটাই। সুযোগ তো একবারই। জীবনের চেয়ে বড় কোনো সম্পদ তো নাই। বেঁচে থাকাটাই তো সবচেয়ে বড় কথা। তাই না?

জীবন ও জগত নিয়ে উপরের এই কনক্লুডিং কথাগুলো নিয়ে আমার এই কবিতাটা পড়তে পারেন: ‘পরজীবন বিশ্বাসের চেয়ে বেশি জাগতিক কিছু নাই’।

ফেইসবুকে প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

Munir Ahmed: মুহতারাম! ‘ঈশ্বর’ না বলে ‘আল্লাহ’ বা বড়জোর ‘সৃষ্টিকর্তা’ বলুন।

Mohammad Mozammel Hoque: আমাদের ডিসিপ্লিনে এটা সাধারণত এভাবে বলে। এতে আমরা অভ্যস্ত। যেভাবে আমাদের দেশের লোকজন ‘খোদা’ শব্দটাতে অভ্যস্ত। অথচ, এটি জরাথুস্ট্রবাদ থেকে আগত ফার্সি শব্দ। আরবী ‘আল্লাহ’ শব্দটার তুলনায় সংস্কৃত ভাষার ‘ঈশ্বর’ আর ফার্সি ভাষার ‘খোদার’ লিংগুইস্টিক পজিশন কিন্তু একই। সেটা আমরা জানি। তারপরও আপনার সংশোধনী ও দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য শুকরিয়া জানাচ্ছি। ফিজিক্যালি দূরে গেলেও আশা করি ভালো আছেন। আপনার দোয়ায় আমাদের স্মরণ করবেন।

Munir Ahmed: অসংখ্য শোকরিয়া। আমি ‘খোদা’ বলতে অনুরোধ করিনি। আমাদের অত্র অঞ্চলে সৃষ্টিকর্তাকে বুঝাতে সাধারণত মুসলমানগণ ‘আল্লাহ’ ব্যবহার করেন এবং এটাই সঙ্গত। আর হিন্দুরা ‘ঈশ্বর’। তাছাড়া ঈশ্বরের স্ত্রী চরিত্রও হয়, কিন্তু ‘আল্লাহ’র লৈঙ্গিক ভেদ নেই। হয়তো এ কারণেই একজন ঈমানদার মু’মিনের মুখে বার বার ‘ঈশ্বর’ শুনতে আমার ভালো লাগেনি। হয়তো আমার মতো আরো অনেকের স্বাভাবিক লাগবে না। সে যাক …।

হক ও সত্যকে তুলে ধরতে আপনার উদ্যোগ, প্রচেষ্টা ও ত্যাগের জন্য সব সময় দোয়া করি। পরম করুণাময় আল্লাহ আপনার সহায় হোন এবং নিরাপদ, সুস্থ ও হায়াতে বরকত দান করুন।

দোয়ার সময় আমি গুনাহগারকেও স্মরণ করবেন।

Md Rezaul Ahad: তিনিই আমাদের স্রষ্টা যাঁর অসংখ্য গুণবাচক নাম আছে। নিশ্চয়ই আমরা বিধর্মীদের মতো কোরআনের বাইরে ভিন্ন নামে ডাকবো না, যা আল্লাহ্‌ আমাদের শিক্ষা দেননি। ডাকা অপরাধ তা বলছি না। তবে নির্ভরযোগ্য আলেম সমাজ অসম্মতি দিয়েছেন।

Mohammad Mozammel Hoque: অলমাইটি সুপ্রিম অথরিটি তথা সৃষ্টিকর্তাকে বুঝানোর জন্য আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করার কথা কোরআন-হাদীসে বলা হয়েছে। সমস্যা হলো, তৎকালীন আরবে এই আল্লাহ শব্দটিকেই মুশরেকরা প্রধান দেবতা বুঝানোর জন্য ব্যবহার করত। সেজন্য কোরআনে যখন আল্লাহ শব্দটি বলা হয়েছে তখন কাফের-মুশরেকরা সেটা অধিকতর সহজভাবে বুঝতে পেরেছে। আমাদের এখানে ব্রহ্ম বা ব্রম্মা বলতে যেটা বোঝানো হয়, আল্লাহ শব্দটি আরব অঞ্চলের নন-মুসলিমদের কাছে ঠিক তেমনই। এখনও।

Mohammad Noman: সুন্দর ছিল, এটা কন্টিনিউ করেন। নাস্তিকদেরকে একটু বেশি খুশি করতে গিয়ে রিয়েল চিত্রকে একটু ভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করছেন, এটা ভেবে দেখেন। তাও ভালো, সাহসিকতার জন্য।

Mohammad Mozammel Hoque: আগের ভিডিও বক্তব্যগুলোতে নিরীশ্বরবাদীদের ওপর কিছুটা জুলুম করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছিল। তাই এখানে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছি। এটি করতে গিয়ে ‘রিয়াল চিত্রকে ভিন্ন ভাবে বলা হয়েছে’ আমি এমনটা মনে করছি না।

কারো বাস্তব ব্যক্তিজীবন, কার্যক্রম, অবদান ও দৃশ্যমান অনস্বীকার্য বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে, কারো নিছক মুখের কথা, বিশ্বাস বা আদর্শ বা মন ভালো হওয়ার দাবির কারণে কাউকে ভালো বা মন্দ হিসেবে আইডেন্টিফাই করা, এটি ভুল পদ্ধতি। সামাজিক বাধার কারণে আমাদের আশেপাশে অনেকেই নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিতে চান না। কিন্তু কাজকর্ম দেখে বুঝা যায়, তারা নাস্তিকতা ভাবাপন্ন। এমন অনেক লোককে দেখেছি, যারা সহকর্মী হিসেবে, বস হিসেবে, সমাজের একজন হিসেবে, নাগরিক হিসেবে তথা ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আসলেই ভালো মানুষ। এটি আমার অভিজ্ঞতা। যা আমি বলেছি।

Mohammad Noman: নিরীশ্বরবাদীরা নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুম করছে প্রতিনিয়ত। তাদের কর্ম ও মনন কখনো স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয় না। অনেকটা সুবিধাবাদী চিন্তা থেকে তারা নাস্তিকতাকে কন্টিনিউ করে।

তবে আচার, বিশ্বাস ও কর্মের বিবেচনায় অনেক মুসলমানও নাস্তিকতাকে একজিস্ট করে। বিশ্বাসের সাথে কর্মের সমন্বয়ের ঘাটতির ফলে যে কোনো সাধারণ মুসলমানের ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে। আপনার বিশ্বাস ও কর্মের বিষয়ে আমার কোনো সংশয় নাই।

পোস্টটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *