আমাদের ধর্মীয় সেক্টরে কিছু যিকির বা রেটরিককে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কিছু স্লোগান মুখস্থ করানো হয়েছে। এখন বুঝে না বুঝে লোকেরা সেগুলো বলতে থাকে। এইসব অবুঝ-অর্ধবুঝ লোকদের খেয়াল-খুশির পেছনে ছুটলে বাস্তবসম্মত ও টেকসই সমাজ বিনির্মাণের কাজটা আর হয়ে উঠবে না।
স্লোগানসর্বস্ব এই ফাঁপা বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার পিছনে মদদ দিয়ে যাচ্ছে কিছু উচ্চ শিক্ষিত লোক। তারা কেউ কেউ প্রাচ্যে থাকে, আর কেউ কেউ থাকে পাশ্চাত্যে। উভয় ক্যাটাগরির লোকেরাই পাশ্চাত্য সুযোগ-সুবিধার সবটুকু নিয়ে কোমর বেঁধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতা করে।
কীভাবে আমরা সমকালীন পাশ্চাত্য বিশ্বকে একটা কার্যকর civilizational counter দিতে পারব সেটা নিয়ে তারা কখনো বাস্তবসম্মতভাবে ভাবে না।
নতুন করে নিজস্ব আঙ্গিকে সভ্যতা নির্মাণ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত অপর সভ্যতার সদর্থক দিকগুলোকে সানন্দে গ্রহণ করতে হবে। তাতে করে খেলার শুরুতেই আপনি বা আপনার পক্ষ থাকবে একটা সুবিধাজনক (advantageous) অবস্থানে।
প্রায় সময় লেখার মধ্যে আমি আমার সংশ্লিষ্ট কোনো প্রাসঙ্গিক লেখার লিংক দিয়ে থাকি। আজ আর এটি করার ইচ্ছে হচ্ছে না।
আপাতত, আমরা যারা কনসেপ্ট বিল্ডার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, তাদের জন্য কাজের কাজ হচ্ছে, যা আমরা সঠিক মনে করি তা বারবার বলতে থাকা। নিন্দুক ও গালিবাজদের তালবাল দেখে থেমে গেলে চলবে না। বুদ্ধিবৃত্তিক জনপরিসরে একটা শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। এভাবেই আমরা একটা এফেক্টিভ কাউন্টার প্যারাডাইম তৈরি করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
যারা গণতন্ত্র নিতে পারে, তারা গণতন্ত্রের যমজ সহোদর ধর্মনিরপেক্ষতাকে নিতে পারে না কেন, সেটা আমার বুঝে আসে না।
এই দৃষ্টিতে যারা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ এবং সামাজিক বহুত্ববাদ, এই টোটাল সমকালীন পাশ্চাত্য রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্যাকেজটাকেই মোটাদাগে অস্বীকার করার চেষ্টা করে, তাদের অবস্থান বরং ‘ইসলামী গণতন্ত্র’পন্থীদের তুলনায় অধিকতর কনসিসট্যান্ট।