তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে তা অকল্যাণকর।

আজ সকালেই এই কথাটা ভালো করে বুঝলাম।

২.

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান (AUW) এর উদ্যোগে আয়োজিত model united nations (MUN) এর বিতর্ক প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণ করার জন্য বড় মেয়ে মাহজুবাহকে মটর সাইকেলে করে দক্ষিণ ক্যাম্পাসের বাসা হতে ১নং রাস্তার মাথায় পৌঁছিয়ে দিলাম। চট্টগ্রাম শহরের জিইসি’র কাছে হোটেল পেনিনসুলাতে প্রোগ্রাম।

খানিকক্ষণ অপেক্ষো করে দেখলাম অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে। মনে হলো কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছে। লোকাল গাড়ি একটাও দেখা যাচ্ছে না। একটু পরে একটা শহরগামী বাস গেলো। একজনকে নামিয়ে দু’একজনকে তুলে ছুটে গেলো। আমরা অসহায় বোধ করলাম। ভাবলাম, ইস, এই গাড়িটা ধরতে পারলে খুব সুবিধা হতো।

বসে না থেকে মাহজুবাহকে বললাম, পিছনে বসো। দেখি তোমাকে কতটুুকু এগিয়ে দেই। না, তেমন কোনো গাড়ী নাই। রাস্তা অনেকটা ফাঁকা। স্টপেজগুলোতে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তখন সকাল সোয়া আট টা।

এগোতে এগোতে ফতেয়াবাদের কাছে এসে দেখলাম, রাস্তা পুরো জ্যাম। বাইকের সুবিধা নিয়ে ফাঁক-ফোকর দিয়ে আগাতে থাকলাম। দেখলাম, ওই বাসটা, যেটা মিস করার জন্য একটু আগে বেশ দুঃখ হচ্ছিল, আরো অনেক গাড়ির সাথে রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে। একটু দূরে দেখলাম একপাশে একটা ট্রাক আড়াআড়িভাবে দাঁড়ানো। কী সমস্যা হয়েছে বুঝতে পারলাম না। ট্রাকটার কারণেই জ্যাম লেগেছে।

৩.

বাংলাদেশের মতো ট্রাফিক না মানার দেশে স্বল্প দূরত্বের জন্য মোটরসাইকেল হলো সবচেয়ে উপযোগী যানবাহন। বুঝতেই পারছেন, ফাঁকেফুকে টেনে জ্যাম পাড় হয়ে মাহজুবাহকে একটা বাসে তুলে দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলাম।

যেই বাসটাতে উঠতে না পারার জন্য খানিক আগে এতো দুঃখ হচ্ছিল। একটু পরেই অথচ সেই বাসটার প্রতি আমাদের কোনো আকর্ষণই থাকলো না। এমনটা আামাদের জীবনে নানা ক্ষেত্রেই হয়।

কোনো না পাওয়া মনে হয় অসহ্য। ওটা ছাড়া জীবন যেন অর্থহীন। অথচ, কিছু পরেই আমরা অনুধাবন করি, পাওয়ার ওই আকাংখাটা না পাওয়ায় পর্যবসিত হওয়াটা আমাদের জন্য কতোই না ভালো হয়েছে …!

অনুরূপ একটা গল্প শুনেছিলাম। ঈশপের গল্পের রূপান্তরের মতো ঘটনার বর্ণনা আলাদা কিন্তু শিক্ষাটা একই। এক বিমান যাত্রী যানজটে আটকে ফ্লাইট মিস করেছে। আফসোসের তার সীমা নাই। মনের দুঃখে বাড়ি ফেরার পরে জানতে পারলো, ওই বিমান ক্র্যাশ করেছে। সব যাত্রীরা নিহত…!

৪.

ছাত্রজীবনে আমি এই দিক থেকে যথেষ্ট ‘বেকুব’ ছিলাম। তাই শিবির করে যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়টুকু ‘নষ্ট’ করেছি। আমাদের মধ্যকার কিছু ‘বিচক্ষণ’ ‘যোদ্ধা’ শিবির নেতা, ছাত্রী সংস্থার পর্দানশীন কারো সাথে তলে তলে ‘সাংগঠনিক প্রেম’ করে সময়কে বেশ ‘কাজে’ লাগিয়েছেন। দ্বীন ও দুনিয়া উভয় দিকেই তারা বেশ তৎপর ছিলেন।

তেমন এক সিনসিয়ার ভাইকে হঠাৎ করে বিসিএস পড়া নিয়ে খুব ব্যস্ত হতে দেখা গেলো। উনার কথায়, ‘আমাকে বিসিএস পাশ করতেই হবে’। পাশ করে, চাকরীতে ঢুকে, বিয়া করে অনেক পরে ক্রমে ক্রমে জানতে পারলাম ওই দ্বীনি ভাই ‘ওমুক আপার’ সাথে ‘লাইন’ করতো। আমাদের সময়ে ‘এফেয়ার’ শব্দটার প্রচলন ছিলো না। ‘ক্র্যাশ খাওয়া’ তো আধুনিকতম শব্দ। যাহোক।

ওই ভাই কয়েকবার বিসিএস দিয়ে শেষ পর্যন্ত এখন সরকারী কলেজের প্রফেসর। পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্য করে এখন বেশ পয়সাওয়ালা। সে যাই হোক, উনার বিসিএস না হওয়ার কারণে হাঙগার স্ট্রাইক সত্বেও ওই বোনকে উনার পরিবার তৎকালীন এক সহকারী অধ্যাপকের সাথে জোর বিয়ে দিয়ে দেয়। ‘নির্দোষ’ সেই দায়িত্বশীলা আপার (আমরণ) অনশন চলাকালেই অন্যদের কাছে মন্তব্য করেছিলাম, ‘দেখবেন, বিয়ের রাত পার হতে না হতেই তিনি সব ভুলে যাবেন’। উল্লেখ্য, ওই আপার ‘সাংগঠনিক প্রেম’ সম্পর্কে তখনো পর্যন্ত কোনো খবর আমার কাছে না থাকলেও তিনি যে পরিবারের পছন্দ করা পাত্রের সাথে বিয়ের সম্বন্ধটাকে ঠেকানোর চেষ্টা করছেন তা জানতাম।

পীর-ফকিরি না জানলেও জীবনের rational experience থেকে এটি বলেছিলাম। ঠিকই দেখা গেলো, ওই দ্বীনি বোন সর্বস্ব দেয়া জীবনের ‘শ্রেষ্ঠ’ মানুষটিকে ভুলে মাস খানেক পরে নিজ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেয়ার কাজে ‘প্রাক্তন চাচা’র (বর্তমান স্বামী) সাথে বেশ হাসিখুশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এর পাশাপাশি, ওই বিচক্ষণ প্রেমিক আমার শিবির জীবনের সহদায়িত্বশীল ভাইটা এক বিদূষী সহকর্মীকে বিয়ে করে দিব্যি ভালো আছেন। রবীন্দ্রনাথের ‘একরাত্রি’ গল্পের আবেগটুকুও তাদের মধ্যে নাই। যেন তারা চিরদিনই শুধুমাত্র পরিচিত ছিলেন।

৫.

তাই, ইসলামের তাকদীর বিশ্বাসের চেয়ে অধিকতর বাস্তবসম্মত তত্ত্ব আর নাই। যা হয়ে গেছে, চলে গেছে, তা নিয়ে খুব বেশি আফসোস না করে এগিয়ে যাওয়া। ভবিষ্যতকে নির্মাণ করতে চাওয়া। এটিই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। যা পাই নাই তা নিয়ে হায় আফসোস করা কিংবা সময়ের আগেই জোর করে আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু পেতে চাওয়ার মধ্যে আলটিমেইটলি কোনো কল্যাণ নাই।

সময় যখন ঋদ্ধ হবে তখন অপরিপক্ক সময়ের চাওয়াটাকে বরং বোঝা মনে হবে। প্রেমের বিয়ে খুব একটা সুখের না হওয়ার এটি কারণ। দেখা যায়, নিজেদের ভালো ভালো দিকগুলো তো এফেয়ার চলাকালীন সফিসটিকেটিডলি প্রেজেন্ট করা হয়ে গেছে। অক্সিজেন শর্টেজ হওয়া পানিতে মাছগুলো মরে ভেসে উঠার মতো আকর্ষণের মাত্রা কমে যাওয়ার পরে পরষ্পরের মানবিক সীমাবদ্ধতা তথা দোষ-ত্রুটিগুলো সব বিয়ের পরে ভেসে উঠতে থাকে। তখন অসহ্য লাগে। একান্ত কাছের মানুষটিকে নিতান্ত অচেনা লাগে। ততদিনে ট্রেন স্টেশন ছেড়ে বহু দূর এগিয়ে গেছে। ফেরার পথ এক প্রকার রুদ্ধ।

৬.

যে বাবা-মা হওয়ানো থেকে প্রতিষ্ঠিত করা পর্যন্ত কোনো ছেলে বা মেয়ের জন্য সব ভালোগুলো করতে পারলো, সেই ছেলে বা মেয়ের দাম্পত্য জীবন নিয়ে ওই প্যারেন্টস কেন ‘নাক গলাতে’ পারবে না, তা আমার বুঝে আসে না।

যাহোক, এটা ভিন্ন প্রসংগ। আজ এ বিষয়ে আর কথা নয়। যে কথা দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম তা আল্লাহ তায়ালার একটা বাণী। সুরা বাকারা ২১৬ নং আয়াত।

ফেসবুকে প্রদত্ত মন্তব্যপ্রতিমন্তব্য

Zillur Rahman স্যার এ জন্যই ভালবাসি আপনাকে! চমৎকার রকমের আশাবাদী আপনি। বলতে ইচ্ছে করছে,”স্যার আপনি তো আমার মতই।”

Mohammad Mozammel Hoque: আশাই ভাষা, ভালোবাসা। আশা, ভাষা ও ভালোবাসা – সবই এক, জীবনের মর্মার্থ। এই আশা, ভাষা ও ভালবাসাকেই ফিজিক্সের লোকেরা বলে মহাকর্ষ বল। পদার্থিক আর সামাজিক গ্রাভিটেশনাল ফোর্সে আমরা পরস্পর বাঁধা। বন্ধনই জীবন। মুক্তি সাময়িক। আশার টানে ভালবাসার মোহে ছুটে চলাই জীবন। জীবনকে বুঝতে হবে জীবনের অন্তহীনতার অবয়বে। সাময়িক পাওয়াকে, ভুল চাওয়াকে বড় করে দেখলে, গন্তব্য ভাবলে ভুল হবে। মাঝে মাঝে না পাওয়াও রহমত হয়ে দাঁড়ায়। এ কথাই বলতে চেয়েছি।

Mahfuz Nayem: অন্যের সমালোচনা না করে নিজেদের উত্তম প্রমাণের কোন পন্থা নেই?

মাহফুজ নোমান: সমালোচনাকে পজেটিভলি নেওয়া উচিত। ভালো-খারাপ নিজের কাছে, এটাকে সেভাবেই যাচাই করা উচিত। আর সমালোচনা না থাকলে আভ্যন্তরীণ শক্তি ভেঙ্গে পড়ে।

Mahfuz Nayem: আমি সমালোচনার পক্ষে। তবে সেটার উদ্দেশ্য অবশ্যই মহৎ হওয়া চাই। আর চাই সুন্দর ভাষায় ও পদ্ধতিতে।

মাহফুজ নোমান: এই বিষয়ে বলতে গেলে প্রচুর কথা বলতে হবে। কিন্তু সেটা সংগঠনের কারোরই পছন্দ হবে না। দুইটা পয়েন্ট বলছি: (১) কোন বিশাল ভুলের কারণেও শিবিরের কোন নেতা পদত্যাগ করার নজির নাই। অথচ ঐ ভুলের কারণে ইসলাম থেকে অনেকেই বের হয়ে গিয়েছে। (২) অনৈতিক কাজের কারণে কোন ব্যক্তিকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করার নজির নাই। অথচ অনেকের গলাধাক্কা প্রাপ্য ছিলো। কিন্তু গোপনীয়তা বজায় রেখে বিদায় দেওয়া হয়। দুটোরই ফলাফল হচ্ছে, কোন সমালোচনাতেই সংগঠন ঐ জায়গাগুলোতে বদলাবে না। সুতরাং সুন্দর বা খারাপ কোন সমালোচনাই সেখানে গণ্য নয়। সুন্দর হয় গ্রহণের জায়গায় আর খারাপ হয় প্রত্যাখাতের জায়গায়।

Mazharul Islam Khondokar: দুই একটা ঘটনাকে ফলাও করে বলার মধ্য দিয়ে একটা গোষ্টির সবার চরিত্রহনন করা কতটুকু সমীচীন?

মাহফুজ নোমান: আমি একসময় এই ধরণের কথা বলতাম। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন পেয়েছি। ২০১৪ সালেই শুধু সংস্কারপন্হী ছিলাম। তারপর ঐসব ধাঁচের বাহিরে চলে আসছি। এটা কোনদিনও সংস্কার হবে না। যত যোগ্য নেতাই আসুক, ভিতরের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমগুলো তাদেরকে এগুতে দিবে না। আর দু-একটা ঘটনা কোন কালেই ছিলো না। লুকায়ে রাখার ফলে দু-চারটা বের হয়ে যেতো মাত্র। কিন্তু যারা ভিতরের বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে দেখেছে, তারা বুঝেছে ঘটনাগুলো কত বেশী ঘটেছে। আল্লাহ মাফ করুক। অতীতের বিষয় মনে না রাখার জন্য সমালোচনা থেকে দূরে থাকি। কিন্তু এইটুকু বলতে পেরেছিলাম, আল্লাহ একটা বড় গুনাহ থেকে বাঁচিয়েছিলেন।

Sourav Abdullah: অনেকদিন আগে খাতার এক কোণে কী মনে করে লিখেছিলাম, আজ আবার দৃষ্টিগোচর হলো, আর আপনার পোস্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় এখানে তুলে ধরলাম। মানুষ যখন চিন্তা করে, That’s what all I need, without that my life is nothing but hell. মানুষ যখন বর্তমানকে ভুলে গিয়ে অতীত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে তখন তার জীবনকে দুর্বিষহ করার জন্য আর কিছুরই প্রয়োজন হয় না। Man must have focus on today to do well in future. And that is what makes ones past, present, and future bright.

Obaidullah Bin F Rahman: চমৎকার একটা লেখা স্যার। কঠিন কয়টা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলাম, আলহামদুলিল্লাহ। কয়েকজন ভাই লেখার বিষয়বস্থু না বুঝে কমেন্ট করেছেন যারা শিবির কিংবা শিবিরের শুভাকাঙ্ক্ষী। আফসোস হচ্ছে শিবিরের মত মেধাবী কাফেলায় এখন এমন সংকীর্ণ মেধা ও চিন্তার লোক রয়েছে, ইন্নালিল্লাহ। প্লিজ লেখাটি প্রয়োজনে বার বার পড়েন, তবুও না বুঝে ফাউল কমেন্ট করে নিজেদের সময় সম্মান রক্ষা করেন প্লিজ ।

Saeed Hussain: স্যার কথাগুলো একটু বেশিই বাস্তব, আর নতুন একটা সমস্যা হলো বর্তমান জামাত-শিবিরের অনলাইন যোদ্ধারা একটু বেশি আবেগী, তারা পাঠ্যবই আর জ্ঞানের বই থেকে ফেইসবুক পড়তে এবং ফেইসবুকবাসিদের শাসন করতে বেশি পছন্দ করে।

Borhan Ahmed: পুরো লেখাটাই এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেলার মতো মজাদার। ভালো লেগেছে। আপনার অন্য লেখাগুলো পড়ে যেমন মনে হতো তাত্ত্বিক রসকসহীন, আজ অন্যরকম। মজা পেলাম।

Mohammad Mozammel Hoque: তাহলে বুঝা গেলো, আমার ভাষা কঠিন, এটি সমস্যা না। আমার ভাষা কঠিন মনে হওয়ার কারণ হলো তাত্ত্বিক জটিলতা বা গভীরতা। কেননা, এই লেখাতেও বড় বড় বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ, আপনি বলছেন, ভালো লেগেছে।

যাহোক, ধন্যবাদ।

Umme Salma: কিছু shocking কিন্তু real ঘটনা sarcastically লিখলেন…সত্যি ভাবনার অন্তমিলে অবাক হয়েছি। আমি ভাবতাম, না বলতাম না, শুধু একটি যুগে এগুলো হয়েছে, পূর্বতনে নয়।

লেখাটির ফেসবুক লিংক

Similar Posts

২ Comments

  1. আসসালামু আলাইকুম……

    এমন অসংখ্য অভিজ্ঞতা অনেকের মত আমার জীবনেও আছে .
    আলহামদুলিল্লাহ, এখন আর অপছন্দ বা আক্ষেপ করার কষ্টভোগ করতে হয়না

    1. কথাগুলো বলতে হবে। কথাবার্তা না বলে, বিশেষ করে লেখালেখি না করে জীবনের বিরাট অংশ শুধু এক্টিভিজম করে কাটিয়েছি। এখন দেখছি যাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দানকে খাস করেছেন তাদের উচিত সোজাসাপ্টাভাবে যা ভালো মনে করেছেন, তা বলা। আর বলাবলির সবচেয়ে ভালো ফরমেট হলো লিখিতভাবে বলা। এসবি ব্লগের পরে আপনার লেখাগুলো আমি মিস করছি। বুঝতেছি না কীভাবে কোথায় আপনার লেখাগুলো একসাথে পাবো …। যাহোক, ভালো থাকুন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *