মানুষ সাধারণত অন্যের জীবন যাপন করে। মনে হয় যেন সে অন্যের জন্যই বেঁচে আছে। হতে পারে তার বাবা-মা, ভাই-বোন, বিশেষ করে সন্তানাদির জন্য। এটি ভুল। মানুষের শুধুমাত্র নিজের জীবনই যাপন করা উচিত। প্রত্যেকের উচিত নিজের সুবিধা-অসুবিধা, ভালো-মন্দ, নিজের নৈতিক অবস্থান, এক কথায় নিজেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অথবা নিজেকেই শুধুমাত্র মূল্যায়ন করে জীবন যাপন করা। হোক সেটা পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন কিংবা বৃহত্তর আর কিছু।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,
“সেদিন মানুষ নিজের ভাই, নিজের মা, নিজের পিতা এবং নিজের স্ত্রী কিংবা স্বামী ও সন্তানাদি হতে পালাবে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির উপর সেদিন এমন সময় এসে পড়বে নিজের ছাড়া আর কারো প্রতি লক্ষ্য করার মতো কোনো অবস্থা তাদের কারো থাকবে না।” (সূরা আবাসা: ৩৪-৩৭)
এ ধরনের অন্যান্য আয়াত, বিশেষ করে এই আয়াতের আলোকে এটি স্পষ্ট, যে ধরনের জীবনদৃষ্টির কথা ইসলাম বলে, তা একদৃষ্টিতে চরম আত্মকেন্দ্রিকতাবাদী, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী এবং অস্তিত্ববাদী।
যারা অন্যের জীবন যাপন করে, অর্থাৎ অন্যের জীবনের সফলতাকে নিজের সফলতা মনে করে, অন্যের জীবনের ব্যর্থতাকে নিজের ব্যর্থতা বলে মনে করে, অন্যের সুখকে নিজের সুখ বলে মনে করে, অন্যের দুঃখকে নিজের দুঃখ বলে মনে করে, এই ধরনের লোকেরা জীবনে শেষ পর্যন্ত কখনো সফল হতে পারে না। সত্যিকারভাবে সুখী হতে পারে না। কারণ, প্রত্যেকটা মানুষের সুখ-দুঃখের অনুভূতি, সফলতা-ব্যর্থতার মাপকাঠি, জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।
একটা সুনির্দিষ্ট সামাজিক সম্পর্ক তথা দেয়া-নেয়ার সম্পর্কের বাইরে কোনো মানুষই কারো জন্য তার নিজের মতো করে একান্ত আপন হতে পারে না। এ অসম্ভব। প্রত্যেক মানুষই এক একজন স্বাধীন ও স্বতন্ত্র মানুষ, তাদের মধ্যে সম্পর্ক যতই নিকটতম হোক না কেন। প্রতিটা মানুষ জীবনকে দেখে নিজের চোখ দিয়ে, একান্ত নিজের মতো করে। তাই, প্রত্যেকের দুনিয়া আলাদা।
এ হলো এক নম্বরের কথা। দ্বিতীয় নম্বরের যে কথা অতীব গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, প্রত্যেকে আমরা একই দুনিয়াতে বসবাস করি। প্রত্যেকে আমরা মানুষ। প্রত্যেকে আমরা একই পদ্ধতিতে নিজের মতো করেই চিন্তা-ভাবনা করি। আমাদের জ্ঞান, রুচি, নৈতিকতা ইত্যাদি আমাদের অস্তিত্বের একটা সীমানা বা সীমাবদ্ধতা দ্বারা নির্ধারিত। তাই আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো পরস্পর থেকে স্বতন্ত্র বটে কিন্তু একটা সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন বা বাউন্ডারির বাইরে আমরা যেতে পারি না। আমরা যা কিছু কল্পনা করি তা আমাদের মতো করেই করি বা করতে বাধ্য হই। ফিলোসফির ভাষায় এটাকে বলা হয় মনুষ্যকেন্দ্রিকতা বা anthropocentrism বা anthropomorphism।
তাই, অন্য দৃষ্টিতে বলতে হয়, মানুষ মাত্রই হচ্ছে সামাজিক জীব। মানুষ নামক এই জীবটির যা কিছু অর্জন, জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধর্ম, দর্শন, সভ্যতা-সংস্কৃতি এসব কিছুই হচ্ছে যুথবদ্ধতা বা পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ব্যাপার। ইংরেজিতে বললে collaborative work।
আধুনিক পরিমণ্ডলে বলতে হয় ব্যক্তিমাত্রই হচ্ছে একেকজন নাগরিক, একেকজন আত্মমর্যাদাপূর্ণ এবং একই সাথে দায়িত্ববোধসম্পন্ন ব্যক্তি। তাই নিজের ভালোকে ম্যাক্সিমাইজ করার জন্য ব্যক্তিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সামাজিক হয়ে উঠতে হয়, সুনাগরিক হয়ে উঠতে হয়। সমাজবিচ্ছিন্ন এবং বৃহত্তর জীবনব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো ব্যক্তি, সত্যিকারের ব্যক্তি বা মানুষ হয়ে উঠতে পারে না।
আমি অন্যের জন্য কী করব, সেটা অন্যরা আমাকে ঠিক করে দিবে, ব্যাপারটা কি এমন? নাকি অন্যের জন্য আমি কী করবো সেটা আমিই ঠিক করব? আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় প্রথমটাই সঠিক। অর্থাৎ আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং নানাবিধ ধর্মীয় ও মতাদর্শগত কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে যা কিছু ফিক্স করে দিবে, আমাদের উপর যেগুলো আরোপ করবে, আমাদের কর্তব্য হলো সেগুলো সম্পাদন করার জন্য যথাসম্ভব সচেষ্ট হওয়া। এটি একটি নিতান্তই বস্তুগত ও আইনি দৃষ্টিভঙ্গি। অপরাপর জীবের মতো মানুষ নিছকই বস্তুগত প্রয়োজন ও বাধ্যতামূলক আইন দ্বারা পরিচালিত নয়। তার রয়েছে ঊর্ধ্বতন ও বৃহত্তর এক ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি। মানুষের জন্য রয়েছে অতিরিক্ত কিছু ভিন্ন ধরনের বিশেষ আইন। যাকে আমরা নৈতিকতা হিসেবে অভিহিত করে থাকি।
নৈতিকতার দৃষ্টিতে উচ্চতর মান তথা সঠিক মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির দাবি হলো আমি আমার নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে, একজন সদস্য হিসেবে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বব্যবস্থাতে সেটাই কন্ট্রিবিউট করবো যা আমার পক্ষে করা সম্ভব। এই দৃষ্টিতে আমি যার জন্য যা-ই করি না কেন, শেষ পর্যন্ত তা আমার নিজেরই জন্য করা হয় বটে। যদিও সেটা একই সাথে অন্যের জন্য মঙ্গলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেউ দিয়ে খুশি, কেউ নিয়ে খুশি। ঠিক বাজারে কেনা-বেচার মতো। যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হয়ে থাকে। প্রত্যেকে স্বীয় স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হলেও এই আত্মস্বার্থপরতার কারণেই তারা পরস্পরকে facilitate করে, উপকৃত করে। লেনদেনের মাধ্যমে উপযোগ বৃদ্ধির পেছনে আত্মস্বার্থপরতার ভূমিকাই মুখ্য।
এভাবে দেখলে দেখা যায় আমাদের সামাজিক জীবনসহ সামগ্রিকভাবে পুরো জগত হচ্ছে একটা সুসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থা। যেটাকে আমরা ইংরেজিতে বলতে পারি one and single super symmetrical system। এই সুপার সিমেট্রিক্যাল সিস্টেম কীভাবে কায়েম হলো সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। নাস্তিক্যবাদীদের জন্য এটি হচ্ছে ‘প্রাকৃতিক’ ব্যবস্থা এবং আস্তিক্যবাদীদের কাছে এটি হচ্ছে মহান ঈশ্বরের পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা।
আশা করি Live your own life বলতে কী বলতে চেয়েছি বুঝতে পেরেছেন।
এ ধরনের আরো কিছু কথাবার্তা আমার বাসায় ডাইনিং টেবিলের পাশে লাগানো একটা হোয়াইট বোর্ডে ইদানিং লিখেছি। এগুলো নিচে তুলে দিলাম। এগুলা নিয়েও পরবর্তী সময়ে আলাপ আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে don’t live your time কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- think positive. be positive.
- with some few bad things around, life is so good.
- there is so many good things in your life and reality, just feel it.
- This is the only life that you have got very likely.
- Engaging in silly matters, is just sheer stupidity.
- Live your own life.
- don’t live your time.
ফেসবুকে প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Halimaa Jesi: আসসালামু আলাইকুম। আপনার এই লিখা পড়ে এই রিলেটেড কিছু পালিত দুশ্চিন্তা দূর হলো। আলহামদুলিল্লাহ! রাব্বুল আলামীন আপনার হায়াতে বরকত দান করুন! ? আমিন।
স্যার, একটা প্রশ্ন করতে পারি?
Mohammad Mozammel Hoque: অবশ্যই।
Halimaa Jesi: ধন্যবাদ। পরিবারে বসবাস করছি তাই নানান রকমের পারিবারিক সম্পর্ক মেইনটেইন করে থাকতে হয়, সমাজের সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে বিভিন্ন ধরনের ফাংশনিং করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে রবের সাথে একান্ত মুহূর্তগুলো কাটাতে পারছি না, দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে! যেটা ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে!! রবকে সন্তুষ্ট রেখে কীভাবে আমরা এসব সম্পর্ক মেইনটেইন করব স্যার?
আমরা যখন চেষ্টা করি আমাদের রবকে সন্তুষ্ট করে সম্পর্ক গভীর করতে তখন বাধা আসছে পরিবার থেকে; এখনই কি এত সম্পর্ক করতে হয়!– এমন কথা শুনছি!! কী করা উচিত??
Mohammad Mozammel Hoque: ব্যাপারটা যদি ফরয ইবাদত সংক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমার মনে হয় ফ্যামিলির লোকদেরকে উপেক্ষা করে যেটা করণীয় সেটা করা দরকার। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ফরজ ইবাদতের ক্ষেত্রে তাদেরকে উপেক্ষা করার কারণে অন্যান্য নানাবিধ নৈমিত্তিক বিষয়ে তাদেরকে খানিকটা বেশি কিছু করে ব্যাপারটাকে ব্যালেন্স করা যেতে পারে।
আর বিষয়টা যদি ফরজ এবাদত সংক্রান্ত না হয়ে থাকে তাহলে কোরআনের সেই আয়াতকেই এক্ষেত্রে ফলো করা উচিত বলে আমি মনে করি যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন– “মুমিন হচ্ছে তারা, যারা আল্লাহকে স্মরণ করে শোয়া, বসা এবং দাঁড়ানো অবস্থায়।” তারমানে, সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা। সামগ্রিকভাবে এটি অর্থাৎ ধৈর্য ও ক্ষমাশীল সদাচারণ হচ্ছে উত্তম এবাদত। নফল ইবাদতের চেয়ে পরিবারের লোকদেরকে সময় দেয়া অধিকতর পুন্যের কাজ বলে মনে করি।
তৃতীয়ত: কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে করণীয় কী, সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বলে দেয়া বা বাইরে থেকে কাউকে পারিবারিক বিষয়ে গাইড করা অসম্ভব। সেটা বাঞ্ছনীয়ও নয় বটে। বরং কিছু গাইডিং প্রিন্সিপালের আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেই সিদ্ধান্ত নিবে, এক্ষেত্রে তিনি কী করবেন।
সূরা আনকাবুতের শুরুর দিকে এ সংক্রান্ত কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া আছে।
Abdul Malek: ইসলাম যেহেতু ভারসাম্যপূর্ণ একটি জীবনব্যবস্থা সেহেতু এখানে অতি আত্মকেন্দ্রিকতার যেমন সুযোগ নেই তেমনি নিজের যোগ্যতার বাইরে ত্যাগ-কুরবানীর ব্যাপারেও আল্লাহ নিষেধ করেছেন। নিজের জীন্দেগীর মূল মাকসাদকে পদদলিত করে যারা শুধুমাত্র আপনজন পুজায় জীবন বিসর্জন দেয় তারাই মূলত পরকালে আফসোস করবে। জাজাকুমুল্লাহ।
Mohammad Mozammel Hoque: ‘নিজের জীন্দেগী’ – এটি বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে। সর্বাগ্রে। সব সময়ে। আমার আত্মমর্যাদাবোধের কারণে আমি নৈতিক হবো। তারমানে, অন্যের জন্য করবো। প্রতিদান পাওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া। ‘আমার আল্লাহর’ সন্তুষ্টির জন্য।
Abdul Malek: এটিই প্রশান্তিময় জীবনের মূল উপাদান। জাজাকুমুল্লাহ।
Mahbubur Rahman Alam: Abdul Malek, ধন্যবাদ। যদি ত্যাগকে নিষেধ করাই হবে, তাহলে শাহাদাতের এত মর্যাদা কেন? বাংলা বাক্যে আল্লাহর কথাকে প্রকাশ করতে চাইলে অধিকতর সতর্কতা কাম্য।
Mohammad Mozammel Hoque: ‘আত্মত্যাগ’-এর দুটো মানে হতে পারে:
(১) annihilation বা নির্বাণ বা বাকাবিল্লাহ বা ওয়াহদাতুল অজুদ অর্থে আত্মত্যাগ।
(২) বৃহত্তর কোনো লক্ষ্য বা উচ্চতর কোনো অথরিটির ইচ্ছার সম্মুখে নিজের বস্তুগত কোনো সুখ, দ্বিমত কিংবা স্বীয় বস্তুগত সত্তাকে বিসর্জন দেয়া তথা total submission অর্থে আত্মত্যাগ।
ইসলামিক প্যারাডাইম অনুসারে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে অংশগ্রহণ করে শহীদ হওয়ার মাধ্যমে কেউ দ্বিতীয় অর্থে আত্মত্যাগ করেন। প্রথম অর্থে আত্মত্যাগের ধারণা ইসলাম ও যুক্তি উভয়েরই বিরোধী।
এটি যুক্তিবিরোধী। কেননা, তত্ত্বগতভাবে বা ontologically আত্মত্যাগী হওয়ার জন্য কারো অস্তিত্ববান হওয়া কিংবা থাকা জরুরি। যিনি প্রথমত বা অ্যাট দ্যা ভেরি ফাস্ট প্লেইস অস্তিত্বেই আসেননি তিনি কীভাবে অস্তিত্ব বিসর্জন দিবেন?
তদুপরি তিনি যখন অস্তিত্ব বিসর্জন দেন তখন আসলে তিনি অস্তিত্বের একটা ধরন থেকে অন্য ধরনে স্বীয় অস্তিত্বের রূপান্তর ঘটান মাত্র। শক্তির নিত্যতা সূত্রের মতো অনেকটা বলা যায়, মানুষের অস্তিত্ব, অস্তিত্ববান হওয়ার পর থেকে অনন্ত।
ক্রিয়া এবং কর্তার সম্পর্ককে যদি আমরা অনিবার্য হিসেবে মেনে নেই তাহলে বলতে হয়, বিসর্জন ক্রিয়ার কর্তা হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সবসময়ই থেকে যায়। ভিন্ন ফরমেটে।
Mohsin Ahmed: first of all, লিখাটা অনেক সুন্দর ছিলো নিঃসন্দেহে! আর আপনি হয়তো বিলিভ করবেন না যে আমি অলওয়েজ এই থিওরিতে বিলিভ করি এবং এইভাবে লাইফ লিড করার ট্রাই করি এবং স্টিল করতেছি! and sometimes I feel I am happier than before!
Mohammad Mozammel Hoque: কথায় বলে– অল্প জ্ঞানে নাস্তিক, গভীর জ্ঞানে আস্তিক। তেমনি যারা অন্যের জীবন যাপন করে, নিজের স্বকীয়তা ভুলে অন্যের জীবনের সাথে নিজেকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে নেয়, অন্যের ব্যর্থতা ও সফলতাকে নিজের ব্যর্থতা ও সফলতা মনে করে, তারা ভুলভাবে আত্মকেন্দ্রিক হয়। আর যারা নিজের জীবন যাপন করে, তারা সঠিক পন্থায় আত্মকেন্দ্রিক হয়।
আমি শত চাইলেও কাউকে আমার মতো করে ভালো বানাতে পারবো না, কিংবা কোনো খারাপ বা ব্যর্থতা থেকে কাউকে বাঁচাতে পারবো না, যদি সেটা তার তকদিরে লেখা থাকে। এই তকদির কথাটাকে ফিলোসফিক্যালি পটেনশিয়াল হিসেবে বলা হয়। যা potentially থাকে না সেটা actualize হতে পারে না। কথাটাকে উল্টাভাবে বললে, সেটাই বাস্তবে ঘটতে পারে, অর্থাৎ একচুয়ালাইজ হতে পারে যেটা ঘটার সম্ভাবনা আগে থেকে Inner potentiality হিসাবে নির্ধারিত থাকে।
সুতরাং, আমাদের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। ইসলামের দৃষ্টিতে জবাবদিহিতা হচ্ছে ব্যক্তিগত।
Muhammed Rasel Pradhan: ”Most people are other people. Their thoughts are someone else’s opinions, their lives a mimicry, their passions a quotation.” — Oscar Wilde
এই কথাটা মনে পড়ে গেল।
Mohammad Mozammel Hoque: আমাদের এই অনুবাদটাও মনে হয় বেশ প্রাসঙ্গিক– কিয়ের্কেগার্দ ও অস্তিত্বের তিন স্তর।