আমি এক স্বপ্নগ্রস্ত বিগত-যৌবন যুবক।
প্রতিদিন জেগে উঠি এক নতুন পৃথিবীতে।
আশা নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে,
প্রতিদিন নতুন করে বেঁচে উঠি,
অজস্র মৃত্যুর পরে।
অবাক বিস্ময়ে ভাবি, কেন আমি বেঁচে আছি?
মরলেই বা কী হবে?
কেন এই রূপ-রস-গন্ধভরা জীবন-খেলা?
যত জ্ঞান আছে মানুষের, ভুল অথবা শুদ্ধ,
কেন এসব জ্ঞান? অন্য কোনো ধরনের জ্ঞান
হলো না কেন? নির্জ্ঞানেই বা সমস্যা কী?
না থাকা হয়েই তো থাকতে পারতাম বেশ! হয়তোবা।
কেন এই জীবন যাপন? এই যাওয়া আসার খেলা?
এসব প্রশ্ন অবিরাম ছোটাছুটি করে,
আমার মনের ভিতরে।
মাঝে মাঝে, ‘মন কী’– এ প্রশ্ন ভাবিত করে আমাকে।
‘আমি কে’– এ প্রশ্ন তো আছেই সদা, সক্রিয়,
সব প্রশ্ন আর উত্তরের অন্তরালে,
প্রতিটি সংবেদনশীল মানুষের মনে।
অবশেষে, উত্তর খুঁজে পাই একটাই।
আমি আছি বলেই এ জগত আছে,
প্রশ্ন আছে, উত্তর আছে।
সমাজ, সংসার ও ঈশ্বর আছে।
এই ব্যক্তি আমিই আবিষ্কার করি,
ব্যক্তিকেন্দ্রিক এক নৈর্ব্যক্তিক জগতকে।
এই ব্যক্তি আমিই খুঁজে পাই এক
ব্যক্তিচরিত্রের নৈর্ব্যক্তিক ঈশ্বরকে।
আমিই নির্মাণ করি তাঁকে,
বিশ্বাস করি তাঁর মহান সত্তায়।
তিনি আছেন বলেই আমি আছি।
আছে আমার অস্তিত্ব, আছে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য,
জীবনের প্রেরণা, জগতের যৌক্তিকতা।