আমার দৃষ্টিতে কোনো বিষয়ের সম্ভাব্য সব দিকেই কিছু না কিছু যুক্তি থাকে। অন্যভাবে বললে, যুক্তির নিরিখে সবকিছুই প্রতিসম (counter-balanced)।

তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নেই কীভাবে?

হ্যাঁ, এখানেই Inference to the Best Explanation বা IBE’র ভূমিকা বা প্রয়োজনীয়তা। কারো কাছে যেটাকে better than any other else or alternative হিসাবে মনে হবে, অন্য কারো কাছে তা নাও হতে পারে। আবার তার কাছে যে অবস্থান বা সম্ভাব্য উত্তরকে বেস্ট মনে হবে, তা যে সবার কাছেই অনরূপ মনে হবে, বা হতেই হবে, এমন কোনো কথা নাই।

সিদ্ধান্তের এই প্রক্রিয়াটার পোশাকি নাম হলো Abductive Logic or Reasoning।

তো, কেন একেক জনের কাছে একেকটাকে সবচেয়ে ভালো কিংবা একমাত্র ভালো বলে মনে হয়, তার ব্যাখ্যায় এটি, অর্থাৎ IBE সহায়ক। যার যার দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বদৃষ্টি, ঝোঁক-প্রবণতা ও রুচি অনুসারে প্রত্যেকে বিবেচ্য বিষয়গুলোকে বিবেচনা করে। পূর্ণসচেতন, অথবা অবচেতনে।

তাই, যুক্তিই শেষ কথা নয়। যুক্তিকে অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত আমরা আবেগের আশ্রয় নেই। প্রত্যেক ব্যক্তিরই থাকে একটি একান্ত আবেগের জায়গা। এর গত্যন্তর নাই। হতে পারে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজের প্যারাডাইম অব থট সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নন। বা কোনো বিরূপ সামাজিক-সাংস্কৃতিক কারণে তার এই ‘বিরুদ্ধ মনোভাব’কে গোপন কিংবা অস্বীকার করতে চাচ্ছেন।

এই দৃষ্টিতে আবেগই হলো জ্ঞানের উৎস। যুক্তিকে শেষ পর্যন্ত চর্চা করে, অর্থাৎ যুক্তিকে exhaust করে বিশ্বাসে যাওয়া, আর যুক্তিকে বাদ দিয়ে সরাসরি আবেগনির্ভর ও নির্বিচার বিশ্বাসকে গ্রহণ করা– এই দুইটার পার্থক্যকে মনে রাখতে হবে। প্রথমটা জ্ঞানপদ্ধতি। দ্বিতীয়টা অন্ধবিশ্বাস।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *