ব্লগে রাজনীতিসহ বিভিন্ন হালকা বিষয়ের ফাঁকে আসুন খানিকটা জ্ঞানচর্চা করি। সাধারণভাবে মনে করা হয়, আবেগ এক জিনিস আর জ্ঞান অন্য জিনিস। ধারণাটা এমন যেন জ্ঞানের ভেতরে আবেগের কোনো স্থান নাই। জ্ঞান চর্চায় আমরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুসারী।
পাশ্চাত্য শিক্ষার একদেশদর্শিতার অন্যতম একটা উদাহরণ হলো– তারা আবেগকে জ্ঞানের চৌহদ্দিতে প্রবেশাধিকার দিতে নারাজ। অথচ আমার বিবেচনায়, আবেগই হলো জ্ঞানের উৎস। নিচের ১০টি প্রপোজিশন দেখুন:
E (Emotion) in K (Knowledge)
- Knowledge is normative.
- So, it is personal and impersonal both.
- K has to be achieved; if not, besides its being true, it will count as mere lucky-guess.
- If K is normative then it is creative as well.
- Creativity is some sort of deviation (from the then established traditional track).
- Looking at the unmarked facts, one deviates out of his emotion.
- Emotion is the guide or fuel of any sort of knowledge forming procedure.
- Knowledge is free of emotion only in its manifestation, in its propositional forms.
- Every proposition does have its own epistemic (knowledge) status.
- Understanding is knowledge though we usually work with its cognitive (non-emotive) propositional form.
সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকে নির্বাচিত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
এম এস জুলহাস: আবেগ ছাড়া কোনো জ্ঞানই অর্জন করা সম্ভব নয়। যেখানে আবেগ নাই সেখানে জ্ঞান অর্জনও নাই।
পারভেজ আলম: আবেগ বলি বা দার্শনিক প্রেরণা, এই ছাড়া জ্ঞানার্জন শুধুমাত্র গোষ্ঠীতান্ত্রিক স্বার্থ উদ্ধারের কাজে লাগতে পারে, একে প্রকৃত জ্ঞনার্জন বলতে আমি নারাজ। এতে মানব জাতির শর্ত নিরপেক্ষ পরম জ্ঞানের কোনো বিকাশ বা বিস্তার হয় না।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: ধন্যবাদ।
আবদুল ওয়াহিদ: শর্ত নিরপেক্ষ জ্ঞানের কথাটা ভাবা সহজ। যেটা হয়তোবা পরম বা পরমের জ্ঞান। কিন্তু সেই ভাবনা তো শর্তাধীন জগতে।
বিশ্বাস ও যুক্তি নামে কোনো শর্ত তৈরি করে দিলে, সেটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আবেগের কথা বলা। এটা স্বীকার করতে হয় যুক্তিকে আমরা আবেগের চেয়ে পরিশীলিত মনে করি। কিন্তু জ্ঞান অন্বেষণে আবেগ কাজ না করলে, জ্ঞানের পেছনে দৌড়ানো কি সম্ভব?
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: ধন্যবাদ।