পাঠকের প্রশ্ন: “আসসালামু আলাইকুম, স্যার। কোনো কিছুর অনস্তিত্বকে প্রমাণ করা যায় কি?”
আমার উত্তর: যায় বৈকি। অন্টোলজিক্যালি বা তাত্ত্বিকভাবে।
পাঠকের প্রশ্ন: “বুঝলাম না স্যার।”
আমার উত্তর: স্পেসিফিকভাবে বিষয়টা বললে বুঝিয়ে দিতে পারতাম।
পাঠকের বক্তব্য: “যে জিনিস নাই, অথবা যে নিজে নাই, অথবা যার কোনো কিছু নাই, অথবা তিনি/তিনি নাই ইত্যাদির ক্ষেত্রে, ‘যে’ ‘যার’ ‘তিনি’ দ্বারা যাকে বোঝানো বা mean করা হচ্ছে তাকেই আবার অস্তিত্বহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বা সে ধরনের চেষ্টা করতে হচ্ছে। এটি বিষয়টা নিয়ে আমাদের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিরোধ তৈরি করে।”
আমার প্রত্যুত্তর: হ্যাঁ, ঠিক তাই। কোনো কিছুকে অস্তিত্বহীন প্রমাণ করতে গেলে এক ধরনের আত্মবিরোধ তৈরি হওয়া এক অর্থে অনিবার্য। কারণ, অস্তিত্বহীন প্রমাণ করার আগে সেটাকে সম্ভাব্য অস্তিত্বসম্পন্ন ‘একটা কিছু’ বা ‘কোন কিছু’ হিসেবে স্বীকার করে নিতে হয়। কথাটাকে দ্বিরুক্তি করে বললে বলতে হয়, যা কোনো না কোনোভাবে অস্তিত্বসম্পন্ন, সেটাকে যখন আমরা অস্তিত্বহীন প্রমাণ করতে যাই, তখন এক ধরনের কন্ট্রাডিকশনের এসেই যায়।
সেজন্য প্রশ্নটাকে করতে হবে এইভাবে— সেই বিশেষ ‘কোনো কিছুকে’ আমি এইভাবে বা ওইভাবে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি কিনা? অথবা, আমি প্রশ্ন তুলতে পারি সেই বিশেষ কোন কিছু আমার দিক থেকে কেমন? সেটা ভালো কি না, তা আমি জানতে চাইতে পারি। কোনো কিছুর কোনো বিশেষ গুণ সম্পর্কে আলোচনা, সন্দেহ বা বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু ‘কোনো কিছু’র একটা কিছু হওয়া বা না হওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না।
বস্তুগতভাবে অথবা তাত্ত্বিকভাবে একেবারেই অস্তিত্বহীন ‘কোনো কিছু’ আদতে ‘কোনো কিছু’ হতে পারে না। কারণ, অস্তিত্বহীন হওয়ার জন্য তাকে অন্তত তাত্ত্বিকভাবে হলেও অস্তিত্বসম্পন্ন হতে হবে।
সাধারণত আমরা যেসব অস্তিত্বহীন বিষয়কে জানি বলে মনে করি, যেমন মিথ্যা, ধর্মীয় দৃষ্টিতে যেমন নাস্তিকতা, বা নাস্তিকতার দৃষ্টিতে যেমন করে ঈশ্বরের ধারণা ইত্যাদি বিষয়গুলো অন্টলজিক্যালি বা তাত্ত্বিকভাবে আলোর বিপরীতে আঁধারের মতো করে বা সত্যের বিপরীতে মিথ্যার মতো করে সত্য।
অর্থাৎ গাণিতিক হিসাব নিকাশে নেগেটিভ একজিসটেন্স বা নেতিবাচক ক্যালকুলেশনের মতো কোনো কিছু একেবারেই নাই হয়ে থাকতে পারে না। তবে, কোনো কিছু বাস্তবে ‘নাই’ হয়ে ধারণাগতভাবে থাকতে পারে। ম্যাথমেটিক্যালি মাইনাস ধরে নিয়ে আমরা বিভিন্ন বিষয় হিসাব করতে পারি। এই ধরনের তত্ত্বীয়ভাবে হিসাব করার ব্যাপারটা হচ্ছে অন্টলজিক্যাল বা কনসেপচুয়াল।
[Robson Munshi’র সাথে ইনবক্স আলাপন]