“everything great you see on earth is built by man”— এই ধরনের কথা যদি হয় নারীবিরোধী বা নারীবিদ্বেষী; তাহলে, “everyone you see on earth, is given birth and brought up by a woman” কথাটা কি হবে পুরুষবিরোধী বা পুরুষবিদ্বেষী?
যার যার প্রেক্ষাপট থেকে কথা কিন্তু দুটাই সঠিক।
নারীবাদ বনাম পুরুষবাদের যে দৃশ্যমান দ্বন্দ্ব, তার অনেকখানি কৃত্রিম কিংবা আরোপিত। ইংরেজিতে যাকে বলে ফলস বাইনারি।
এ যেন বীজের মূল্য বেশি নাকি ফলের মূল্য বেশি, কাণ্ড বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি শিকড়?— এমন ধরনের নিরর্থক বাদানুবাদ।
মানবিক অধিকার, মর্যাদা ও নৈতিক দৃষ্টিকোণের বাইরে বস্তুগত সমতা থাকা কিংবা প্রতিষ্ঠার দাবি একটি অবাস্তব বিষয়। কল্পনা মাত্র।
দুনিয়ার কোনো কিছুই বস্তুগতভাবে সমান নয়। কোনো না কোনো মেটাফিজিক্যাল ক্রাইটেরিয়া বা স্ট্যান্ডার্ডের ভিত্তিতে আমরা বস্তুনিচয়ের মধ্যে সমতা নির্ণয় করি।
একদিক থেকে যেটা সমান, অন্যদিক থেকে সেটা অন্য রকম। এটাই হলো জাগতিক বাস্তবতা।
নারী-পুরুষ সম্পর্কের দিক থেকে এই জাগতিক বাস্তবতাকে উগ্র নারীবাদীরা মেনে নিতে পারে না।
পুরুষদের মধ্যে যারা অতি ভোগবাদী কিংবা নপুংশক, তারা উগ্র নারীবাদের সমর্থক। নারীদের মধ্যে উগ্র নারীবাদের সমর্থকদের কারো ব্যক্তিজীবন সুখের নয়। তাদের নাই স্বাভাবিক দাম্পত্য সম্পর্ক।
নিজেদের অসুস্থ মন-মানসিকতা তারা সমাজের উপরে আরোপ করে।