হাঁটতে চাই। ছুটির দিনে। একাকী। অনেকটুকু পথ। নির্জন কোনো প্রান্তরে। কিন্তু, পরিচিত বলয়ে থাকার স্বাচ্ছন্দ্য-নির্ভরতা, হতে পারে স্বেচ্ছা-আরোপিত সমাজনৈতিক দায়িত্ববোধ, কিংবা এক অন্তর্গত ঔদাসীন্য দমিয়ে রেখেছে আমার এই অগোচরে থাকার সুপ্ত বাসনাকে।

নগণ্য একজন অজ্ঞাত-প্রায় হিসেবে, জীবনের খাতায় অনুল্লেখ্য এক ব্যক্তিমানুষ হিসেবে খানিকটা সময়, অন্তত ক’টা দিন যদি যাপন করতে পারতাম, ভালো লাগতো।

ভালো আর মন্দ খ্যাতি মিলে আমার যে পরিচিতি, একদিক থেকে আমি চাই সেটাকে আরও বাড়িয়ে নিতে। কাজে লাগাতে। আমার নীতি, আদর্শ আর মূল্যবোধের পক্ষে।

আমার একান্ত ব্যক্তিসত্তার অন্য প্রান্তে বা উল্টো পিঠে আমি চাই কেবলই একজন আমি হয়ে থাকতে। যেখানে অন্য কারো মতো হওয়ার কোনো দায় নাই। সফলতার বাসনা নাই ব্যর্থতার জ্বালা নাই। গ্লানি নাই কিছু করতে না পারার।

প্রায়-যৌবনোত্তর এই সময়ে শরীরী কামনা তেমন আর উদ্বেলিত করে না। ভালো খাবার-দাবার, কাপড়-চোপড়, ঘরবাড়ি, সন্তান-সন্ততি, কিংবা আত্মীয়-স্বজন, কোনো কিছুর প্রতি তেমন আর আকর্ষণবোধ করি না ইদানিং। এই সময়ে শুধু নিজেকে খুঁজে পেতে ইচ্ছে করে।

মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়ানো যে কোনো মানুষের মতো অতীতের কথা খুব মনে পড়ে। অথচ, ভবিষ্যৎ নিয়ে কেমন যেন হয়ে উঠছি বেপরোয়া, নির্বিকার। ভাবছি, যা হওয়ার হোক। হবে। যা অনিবার্য তা নিয়ে ভাবিত হয়ে কী লাভ?

চাই শুধু খানিকটা অখণ্ড অবসর। ইচ্ছে করে এমন কোথাও যাই, যেখানে আমি বাঁচবো নিজের মতো করে শুধু নিজেকে নিয়ে।

হতে পারে সেখানে কোনো মানুষ থাকবে না। অথবা থাকবে, কিন্তু তারা আমাকে চিনবে না। ভালোবাসবে না। শ্রদ্ধা করবে না। ঘৃণা করবে না। গণ্য করবে না। ঘাঁটাবে না। মনে করবে যেন আমি নেই ওখানে।

সকল সামাজিক বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে প্রকৃতির মাঝে মিশে যেতে চাই। ফিরে পেতে চাই নিজেকে নিজের কাছে অনাবিল এক একান্ত অনুভবে।

খুব সম্ভবত ছোটবেলায় পড়া জীবনধর্মী কিন্তু ভিন্ন আমেজের দুটি কবিতার প্রভাব, আমার ভিতরে বিপরীতমুখী এই দ্বৈত সত্তা গড়ে উঠার জন্য দায়ী।

এর একটি হলো She Dwelt among the Untrodden Ways। জীবন সম্পর্কে যে চিত্রকল্প এই কবিতায় কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ তুলে ধরেছেন তা হলো এ রকম:

She dwelt among the untrodden ways
Beside the springs of Dove,
A Maid whom there were none to praise
And very few to love:

A violet by a mossy stone
Half hidden from the eye!
—Fair as a star, when only one
Is shining in the sky.

She lived unknown, and few could know
When Lucy ceased to be;
But she is in her grave, and, oh,
The difference to me!

আমার পুরো জীবনটাকে এই ধরনের একটা শেইপে নিয়ে আসার জন্য অন্য যে কবিতাটি আমার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে আমার ধারণা, সেটি হলো আলফ্রেড টেনিসনের ‘ইউলিসিস’।

যারা পড়েননি তাদের জন্য দীর্ঘ এই কবিতার কিছু অংশ তুলে ধরছি:

“I cannot rest from travel
I will drink life to the lees
All times I have enjoyed greatly
have suffered greatly
both with those that loved me
and alone

I am a part of all that I have met
yet all experience is an arch
where through
gleams the untraveled world
whose margin fades forever and forever
when I move

how dull it is to pause, to make an end
to rust unburnished
and not to shine in use!
As to breathe were life
life piled on life were all too little
and of one to me little remains
but every hour is saved from
eternal silence;

and this grey spirit earning in desire
to follow knowledge
like a singing star
beyond the utmost bound of human thought.

Old age hath yet his honour and his toil.
Death closes all;
but something are the end
Some work of noble note
may yet be done
Not unbecoming men that strove with gods.

Though much is taken much abides;
Though we are not now
that is strength which in old days
moved earth and heaven;
That which we are, we are
one equal temper of heroic hearts
made week by time and date
but strong in will
to strive, to seek, to find,
and not to yield.”

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *