স্নেহাস্পদ আবদুল কাইয়ূম সৌরভ সেন্টারের (সিএসসিএস) কাজ শেষ করে ফিরছিল। আমি ওর সাথে ১নং গেইট (জিরো পয়েন্ট) পর্যন্ত হেঁটে গেলাম। এরপর ও সাইকেলে চেপে চলে গেল। আর আমি হেঁটে বাসায় ফিরলাম। রাত নয়টা-সোয়া নয়টা হবে। চারিদিকে তাকিয়ে এত ভালো লাগলো।

এভাবে ‘অকারণে’ মাঝে মাঝে আমি ‘অযথাই’ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ি। জীবন নিয়ে আমার এ ধরনের আবেগবাদিতা নিয়ে বলেছিলাম, ‘বেঁচে থাকার আনন্দে বিভোর। না পাওয়ার হিসেব করে নষ্ট করার মতো সময় কোথায় …?’

৫৪টি বছর বেঁচে ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ! আরো এতটি বছর বাঁচবো না, জানি। কিন্তু, মন টানে, যেন বেঁচে থাকবো অনন্তকাল ধরে।

আজ ৫৫তম বছরের প্রথম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। ফেইসবুক নোটিফিকেশন অফ করে রেখেছিলাম। তৎসত্বেও কয়েকজন সুহৃদ জানিয়েছে আবেগমথিত শুভেচ্ছা। তাদের প্রতি, বিশেষ করে Ehsanul Haque Jasim এবং দূরে থেকে বা নিরবে যারা পছন্দ করেন, ভালোবাসেন, শুভ কামনা করেন প্রতিনিয়ত, তাদের সবার প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

চার মাস বন্ধ থাকার পর সমাজ ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্র (সিএসসিএস) গতকাল হতে আবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০০১ হতে ২০১০ পর্যন্ত ছিল সিএসসিএস-এর একটা পর্যায়। ২০১০ হতে ২০২০ পর্যন্ত আরেকটা পর্যায়। ২০২০ এর পর হতে, যদি বেঁচে থাকি, আল্লাহ যদি তৌফিক দেন, তাহলে সিএসসিএস ও আমার জীবনে সূচিত হবে নতুন পর্যায়।

এক বাক্যে বললে সেটি এভাবে বলা যায়, চিরায়ত মূল্যবোধভিত্তিক একটা সোশ্যাল মুভমেন্ট গড়ে তোলা।

এই সুন্দর পৃথিবীতে সুন্দরতর মানুষদের সাথে যুক্ত হতে চাই আদর্শ, মূল্যবোধ ও ভালোবাসার দৃঢ়তর বন্ধনে। সুন্দর এই জীবন আর সমাজকে গড়ে তুলতে চাই অধিকতর সুন্দর আর সুখময় করে। ন্যায়ের ভিত আর কল্যাণের লক্ষ্যকে করে তুলতে চাই মজবুত আর স্পষ্টতর, নিখুঁত। যারা আশাবাদী, প্রত্যয়ী, অদম্য; অন্তর্গতভাবে যারা বিপ্লবী, চাই তাদেরই একজন হয়ে থাকতে। ‘জীবনবাদী সমাজকর্মী’ – এই পরিচয়ে স্থিত থাকতে চাই আজীবন।

ভালোবাসা নিবেন। ভালো থাকবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *