আগেই যোগাযোগ করেছিলো। এসেছে তারা দু’জন। তাদের ইন্টার পরীক্ষা চলছে। আমার সাথে ইনবক্সের আলাপে সন্তুষ্ট হতে না পেরে পরীক্ষার গ্যাপে তারা এসে আমার সাথে দু’ঘন্টার বেশি সময় ধরে আলোচনা করলো। আলোচনার বিষয় ছিলো আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে। তাদের প্রশ্নগুলো ছিলো এরকম:

সৃষ্টিকর্তা থাকার দরকার কী? বিশেষ করে বিজ্ঞানীরা যখন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে জগৎ সৃষ্টির সম্ভাব্যতা ও সূচনা নিয়ে ‘সন্তোষজনক’ ব্যাখ্যা দিচ্ছে?

কোনো কোনো গবেষণায় আস্তিকতাকে জন্মগত বিশ্বাস হিসাবে দাবি করার বিষয়টাকে সামনে রেখে তারা প্রশ্ন করেছে, ফিতরাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকলেই কোনো কিছু সঠিক বা ভালো হবে, এমন নিশ্চয়তা কি আছে?

আস্তিকতা কি প্রমাণযোগ্য? কীভাবে ও কোথায় এই প্রমাণ পাওয়া যাবে?

সৃষ্টিকর্তা একাধিক হলে অসুবিধা কী? যদি তারা সুপার-সিমেট্রিক্যালি তথা পরম সুসমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করে?

উল্লেখযোগ্য হারে ধার্মিকেরা কেন নিম্নমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের হয়? অ-ধার্মিকদের তুলনায় তাদের তো হওয়ার কথা ছিলো উচ্চমানের! (এটি আলাদা ভিডিও হিসাবে ইউটিউবে পাবেন ‘যুক্তি ও জীবন’ চ্যানেলে)

এসব প্রশ্ন নিয়ে তারা আলেম পর্যায়ের লোকদের কাছে গিয়ে সদুত্তর পায় নাই। উল্টো অপদস্থ হয়েছে। বকা খেয়েছে। হতাশ হয়ে এসব বিষয়ে গুগল করে জানার চেষ্টা করেছে। তখন সেখানে আমার লেখার সন্ধান পেয়েছে। পড়েছে। এরপর ফেইসবুকে আমাকে খুঁজে নিয়ে যোগাযোগ করেছে।

তাদের সাথে আমার আলোচনার এই ভিডিওটিতে আপনিও আপনার জানাশোনা এসব বিষয়ে নতুন পয়েন্ট, ভিউ পয়েন্ট ও চিন্তার খোরাক পেয়ে যাবেন। আশা করি।

পোস্টটির ফেসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *