man assumes his/her own rational consistency or supremacy। কিন্তু নিছক ধারণার বাইরে নিজেদের ব্যাপারে নিজেদের এই circular argument-এর গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু? এর পক্ষে বস্তুগত প্রমাণ কী? কীভাবে বুঝবো যে শিকার করে খেয়ে দেয়ে জাবর কাটতে থাকা বাঘটা বুদ্ধিবৃত্তি চর্চা ও চিন্তাভাবনা করছে না?
মানুষ বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন প্রাণী– এ ধরনের দাবি র্ধ্মবিশ্বাসীরা করতে পারে। কিন্তু মুক্তমনা সেক্যুলার মানুষ হিসাবে আমরা নিজেদের সম্পর্কে যখন ভাবি তখন তো আমরা নিজেদেরকে প্রাণীর অতিরিক্ত কোনো কিছু হিসাবে পাই না।
আসলেই কি তাই?
আসুন, ফিলোসফির কিছু সাদামাটা পদ্ধতি দিয়ে আমরা বিষয়টা যাচাই করে দেখি।
এই আলোচনাটা শুনলে আপনি একমত হবেন, এ পৃথিবীতে শুধুমাত্র মানুষ প্রজাতিরই রয়েছে উন্নততর সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তি। অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে এসব বিশেষ বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত দুর্বল। তারা মূলত সহজাত প্রবৃত্তি দ্বারা পরিচালিত। অথচ মানুষের রয়েছে সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, বিশেষ করে গণিতের মতো বিমূর্ত জ্ঞান।
মানুষ তার ন্যাচারাল হেবিটেট বা এ জগতকে শুধু নয়, বরং মানুষ নিজেকেই নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। এবং সে তা পারেও বটে। এভাবেই সে গড়ে তুলেছে আজকের এই সভ্যতা-সৌধ।
মানুষের এই প্রেরণা, তাড়না ও বৈশিষ্ট্য অনন্য। এটি তার অন্তর্গত আধ্যাত্মিক (sense of transcendence অর্থে) চেতনার বহিঃপ্রকাশ। কোনো প্রাণীর নাস্তিক হওয়ার প্রশ্ন উঠে না। কোনো বস্তুর ‘বস্তুবাদে’ বিশ্বাস করার প্রশ্ন উঠে না। বাদ, প্রতিবাদ, মতবাদ, তত্ত্ব, জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন – এসব নিছকই মানবিক ব্যাপার-স্যাপার।