Philosophy is like equipment. We have to use it and use it carefully.

ফিলোসফি হলো আমাদের চিন্তার পদ্ধতি। ভাবনার উপায়। মানুষ মাত্রই স্বভাবগত দার্শনিক। এটি এমন এক হাতিয়ার যা আমরা ব্যবহার না করে পারি না। ইচ্ছায় হোক, কিংবা অনিচ্ছায়। সচেতনভাবে, কিংবা অবচেতনে। সমস্যার ব্যাপার হলো, যথেষ্ট সতর্কতা ও ঐকান্তিক সততা সহকারে এটাকে ব্যবহার না করলে এর দ্বারা যে কেউ হতে পারে আল্টিমেটলি ক্ষতিগ্রস্ত। দর্শনের সঠিক প্রয়োগ মানুষকে সত্য ও সুপথে যেমন পরিচালিত করে, তেমনি এর খণ্ডিত ব্যবহার বা অপপ্রয়োগের ফলে মানুষ সহজেই হতে পারে পথভ্রষ্ট ও বিপথগামী।

যে কোনো বিষয়ে দর্শন আপনাকে একটা যুক্তির কথা বলবে। আপনাকে সাপোর্ট দিবে। অথচ এর বিপরীত যে পথ বা যুক্তি, সেটার পক্ষেও কিন্তু ফিলোসফি কথা বলবে। শেষ পর্যন্ত আপনি কী করবেন সেটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার। দর্শনকে ব্যবহার করে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে আপনি যে কোনো সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিতে পারেন। প্রকৃতি কিংবা সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এই স্বাধীনতাটুকু দিয়েছে। ফিলোসফির এই আপাত বহুমুখিতা বা বৈপরীত্য, দিনশেষে মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা এবং বুদ্ধিগত সক্ষমতারই পরিচয় বহন করে।

মানুষের ফিলোসফি থাকা তথা মানুষের নলেজ-ক্যাপাসিটি বা স্পেশালিটি প্রমাণ করে– মানুষ নিছক জড় বা বস্তু নয়। তার মানে হচ্ছে, জগতে বস্তু-অতিরিক্ত কিছু বিষয় বা সত্তা আছে। অন্তত ‘একটা কিছু’ আছে। সেটা হচ্ছে মানুষের চিন্তা। মানুষের চিন্তাগুলো বস্তুগত প্রক্রিয়ায় প্রকাশিত হয়। যেমন– মস্তিষ্কের সাহায্যে বলা বা লেখা। কিন্তু চিন্তা স্বয়ং বস্তু নয়।

বস্তুর সাথে চিন্তার সম্পর্ক আবশ্যিক বা necessary হলেও বস্তু ও চিন্তা অভিন্ন (identical) নয়। এর মানে হলো, এই বস্তুজগতের ঊর্ধ্বে বা বাহিরে (beyond) আরো কিছু আছে। এই ধারায় চিন্তা করলে আপনি বুঝতে পারবেন, বস্তুবাদ স্বয়ং একটি স্ববিরোধী (self-refuting) মতবাদ। কারণ, ‘বস্তুবাদ’ স্বয়ং কোনো বস্তু নয়। এটি একটি মতবাদ। তার মানে, মানুষের চিন্তা। অর্থাৎ, মানুষের আছে বস্তু বা বস্তু-অতিরিক্ত কোনো কিছু সম্পর্কে চিন্তা করার বিশেষ বা extraordinary কিছু অ-বস্তুগত বৈশিষ্ট্য। মানুষের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ কী? এটি কোত্থেকে এসেছে? মানুষের এই ব্যতিক্রমী মানবিক বৈশিষ্ট্যের উৎস বা কারণ কি প্রকৃতি? ‘প্রকৃতি’রই বা প্রকৃত প্রকৃতি বা ontology কী? কেন সবকিছু এরকম? অন্য রকম নয় কেন? সবকিছু এভাবেই কেন হলো? অন্য রকম বা অন্য কিছু কেন হলো না? একেবারেই কিছু না হলেই বা কী এমন অসুবিধা ছিল?

এই লাইনে যদি আপনি চিন্তা করেন তাহলে সহজেই আপনি সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বরের ধারণায় উপনীত হবেন। এ বিষয়টি আজকের মতো এই ইন্টারেস্টিং কথাটা দিয়ে শেষ করতে চাইছি: whatever it is, no matter theistic or atheistic, any philosophical argument itself, at the end of the day, is a reason to believe in the existence of something extraordinary, supernatural and superior, which is what we usually call as God….

লেখাটির ফেসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *