ইসলামে কি রাজনীতি আছে?

হ্যাঁ, আছে। খুব গুরুত্ব দিয়েই আছে। ধর্ম তো আছেই। যদিও ধর্ম ‌এবং রাজনীতি এক জিনিস না। দুইটার আমেজ আলাদা। আমাদের শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে পরষ্পর সমন্বিতভাবে কাজ করে, Organic Theory of State অনুসারে সমাজ ও রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও সেভাবে পরষ্পরের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে। এ’গুলো একও নয়, আবার পরষ্পর হতে সম্পূর্ণ স্বাধীনও নয়। তাদের সম্পর্ক আবশ্যিক বা নেসেসারি। নট অকেশনাল বাট মিউচুয়ালি ডিপেন্ডেন্ট, অর ইউ ক্যান সে, দে আর ইন্টারডিপেন্ডেন্ট।

মানুষ মাত্রেরই থাকে একটা রাষ্ট্রীয় জীবন, একটা সামাজিক জীবন, একটা ধর্মীয় জীবন, একটা ব্যক্তিগত জীবন, একটা পারিবারিক জীবন। থাকে অর্থনৈতিক জীবন। সাংস্কৃতিক জীবন। থাকে তার নৃতাত্ত্বিক পরিচয়। মতাদর্শগত পরিচয়। এ’সব কিছু নিয়েই মানুষ। যখন যে দিকটাতে সে এঙ্গেইজ হবে তখন তার সে ধরনের পরিচয় প্রাধান্য পাবে।

প্রচলিত ইসলামী আন্দোলনের ধারণা মোতাবেক প্রত্যেকে উপরোক্ত সব কাজই করবে, যখন যেখানে যতটুকু সম্ভব কিংবা প্রয়োজন। সামাজিক আন্দোলনের কনসেপ্ট অনুসারে, সব ধরনের কাজের গুরুত্ব স্বীকার করা সত্বেও একজন ব্যক্তি কার্যত অবদান রাখার চেষ্টা করবে কোনো একদিকে, যেই ফিল্ডে কাজ করাটা তার জন্য সহজতর অথবা যেইটার এখন জরুরী। কথার কথা, দেশে যখন একটা সিভিয়ার পলিটিক্যাল ক্রাইসিস থাকে তখন সে সুশীল রাজনীতিনিরপেক্ষ হয়ে বসে থাকবে না। বলবে না, ‘আমি তো পলিটিক্সে কাজ করি না। কে আসল, কে গেল, কি হলো বা না হলো তাতে আমার কিছু আসে যায় না।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দলে সক্রিয় হওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়া, এ’সব কিছুই পলিটিকাল এনগেইজমেন্ট। ইলেকশানে ভোট দেয়াও এক ধরনের মিনিমাম পলিটিকাল এনগেইজমেন্ট।

রাজনীতি একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফরজ। ফরজে কেফায়া। রাজার পুকুরে এক ঘটি দুধ ঢালার গল্পের মতো করে মানুষ তাবৎ ফরজে কেফায়া তথা সামাজিক দায়িত্বকে এখন কার্যত নফল বানিয়ে ফেলেছে। একটা জাতির মহত্তম সব অর্জন রাজনীতির মাধ্যমেই অর্জিত হয়। রাজনীতি হলো সামাজিক নৈতিকতার সুসংবদ্ধ রূপ।

এই দৃষ্টিতে, হাইয়েস্ট ফর্ম অব মোরালিটি। রাজনীতি যেমন মানবসভ্যতা, সমাজ ও রাষ্ট্রের অপরিহার্য অনুষঙ্গ; ধর্মও তেমনি সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতার অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ঐতিহাসিক দিক থেকেও এটি সত্য। তাই, ধর্ম এবং রাজনীতিকে একটা বাইনারির মধ্যে আনা ঠিক না। এই দুইটা উপাদান পরষ্পরের পরিপূরক।

রাজনীতি আর ধর্মকে সম্পূর্ণ পৃথক করতে চাইলে, ধর্মহীনতা অর্থে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি কায়েম করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ব্যবস্থার যে গ্রাউন্ড আইডিওলজি, তা স্বয়ং ধর্ম হয়ে উঠবে। ওই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাধান্য লাভ করবে। এটি অনিবার্য। কারণ,

ধর্ম হলো মানবসভ্যতার অপরিহার্য অনুষঙ্গ। তাই, ধর্ম লাগবেই। আবার রাজনীতি ও ধর্মকে এক করে ফেললেও বিপদ। তাতে করে ধর্ম আর রাজনীতির দু’টোই, বিশেষ করে রাজনীতি মাঠে মারা পড়বে। চরম অরাজকতার সৃষ্টি হবে।

কথার কথা ধর্মের তত্ত্বানুসারে চূড়ান্ত বিচারের মালিক আল্লাহ। কিয়ামতের ময়দানে হবে আসল বিচার। রাজনৈতিক ময়দানে কেউ কোনো একটা বড় ধরনের ভুল করে। এরপর তার দলের বাদবাকী লোকেরা বা জনগণ যদি এ’জন্য তার সমালোচনা করে, তার বিচার করতে চায় তখন সেই ফেটাল মিসটেকের যে দায়ী বলতেই পারে, ‘তোমারা কারা? তুমি ফায়সালা করার কে? বিচার আল্লাহ তায়ালা করবেন’।

ধর্মের বিষয়কে রাজনীতিতে নিয়ে আসার কারণে একটা ভজঘট পাকায়ে গেল না?

আধ্যাত্মিকতা একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্যক্তিগত মানের ব্যাপার। ধর্মের কোর আসপেক্ট। একে ব্যক্তিগত রাখাই শ্রেয়। যেমন, নিজেকে পীর-বুজুর্গ দাবী করে কেউ বলতে পারে, ‘আমার স্পিরিচুয়ালিটি খুব হাই। আমার ওযু-কালাম করা লাগে না। আমি সব সময়ে দায়েমি সালাতে আছি। তোমাদের কায়েমি সালাত (মানে, ৫ ওয়াক্ত নামাজ) আমার দরকার নাই।’ অথবা, লোকেরা বলতে পারে, ‘উনি ইমাম। আল্লাহর পক্ষ থেকে নিযুক্ত। তাই তার আনুগত্য করতে হবে নিঃশর্তে। সমালোচনা করলে বা বিরোধিতা করলে ঈমান থাকবে না।’

এ’ধরনের অনভিপ্রেত পরিস্থিতি হতে বাঁচার উপায় হলো ধর্ম ও রাজনীতিকে এক করে না দেখা। কীভাবে দেখতে হবে তা নিয়ে উপরে বলা হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (স.) এর সাহাবীরা পর্যন্ত রাজনীতিকে রাজনীতি হিসেবে দেখেছেন। স্বয়ং আল্লাহর রাসুলকে পর্যন্ত সাহাবিরা স্প্রিচুয়ালিটির জন্য ছাড় দেন নাই।

বুখারী শরিফের একটা হাদিস পড়েছি, রাসুলুল্লাহ (স.) একদিন জোহরের নামাজে দুইরাকাত পড়ে সালাম ফিরাইয়া ফেলছেন। সাহাবিদের মধ্যে একজন বললেন, ‘এখন কি জোহরের নামাজ দুই রাকাত হয়ে গেছে?’ যিনি প্রশ্নটা করেছেন তাঁর হাত একটু লম্বা ছিল। রাসুল (স.) বললেন, ‘যুল ইয়াদাইন, মানে ওই লম্বা হাতওয়ালঅ যা বলেছে তা কি সঠিক?’

সবাই বললেন, হ্যাঁ। নামাজ তো দু্‌ই রাকাতই পড়া হয়েছে।’ তখন রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, ‘তোমরা দাঁড়াও।’ এরপর তিনি তাদেরকে নিয়ে আরো দুই রাকাত নামাজ পড়ে সাহু সেজদা করলেন।

এগেইন, স্পিরিচুয়ালিটির দরকার আছে। এবং ইটস কোর অফ ইসলাম, অর এ্যনি রিলিজিয়ন। বাট ইটস নট ইনাফ। এটাকে রেফার করে, এর দোহাই দিয়ে বাস্তব জীবন চালানো অসম্ভব। এজন্য ধর্মকে যারা রাজনীতিতে আনার জন্য বিরোধিতা করে তাদের একটা গ্রাউন্ড আছে।

এ’কথাগুলো কেউ বলে না। তাই আমি প্রচলিতত ন্যারেটিভের প্রেক্ষাপটে জরুরী কিছু কথা বললাম। ধর্ম ও রাজনীতির ওপর আলোচনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়ে গেছে। সেগুলো নিয়ে পরবর্তীকে কথা হতে পারে।

মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

Shakib Bin Anwar: রাষ্ট্র একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। মানুষকে সেবা দেয়াই রাষ্ট্রের কাজ। নৈতিকতা কিংবা শুদ্ধতার জন্য মানবিক গুণাবলির প্রয়োজন। কিন্তু সেইটা যে কেবল ধর্মের মধ্য থেকেই হতে হবে তেমনটাই যদি হয়, স্ক্যান্ডিনেভীয় ধর্মহীন দেশগুলো কেন তাহলে পৃথিবীর সেরা কল্যাণরাষ্ট্রের উদাহরণ?

Mohammad Mozammel Hoque: “রাজনীতি আর ধর্মকে সম্পূর্ণ পৃথক করতে চাইলে, ধর্মহীনতা অর্থে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি কায়েম করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ব্যবস্থার যে গ্রাউন্ড আইডিওলজি, তা স্বয়ং ধর্ম হয়ে উঠবে। ওই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাধান্য লাভ করবে। এটি অনিবার্য।”

ধর্ম ও নৈতিকতার আলাপ এই আলাপের মূল প্রসঙ্গ না। তাই আপাতত এ’ বিষয়ে বিস্তারিত বললাম না। আপনার আগ্রহ থাকলে ‘নাস্তিকেরা কেন ভাল মানুষ হতে পারে না’ এ ধরনের টাইটেলে আমার সিরিজ আলোচনা আছে। যুক্তি ও জীবন চ্যানেলে পাবেন।

Muhammad A. Bashed: ইসলাম ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে রাজনীতি বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা নেই, সুতরাং এসকল ধর্মের বেলায় রাজনীতি ও ধর্মকে একসাথে মেশালে ভজঘট সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইসলামে যেহেতু রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে আলোচনা আছে, সুতরাং যখন কোনো ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে তখন কি ধর্ম হিসেবে ইসলামকে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ইসলামিক বিধি-নিষেধগুলোকে পৃথক রাখা সম্ভব হবে? উদাহরনস্বরুপ, যাকাত ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এখন এই যাকাতের সাথে অর্থনীতির যেমন একটা সম্পর্ক আছে, আবার এর একটি ধর্মীয় আঙ্গিকও আছে। আরো আছে রাষ্ট্র পরিচালনার একটা অংশ হিসেবে এর রাজনৈতিক গুরুত্বও। এখন, একটা ইসলামী রাষ্ট্র যখন তার নাগরিকদের কাছ থেকে যাকাত আদায় করে তা আবার নাগরিকদের মাঝেই বন্টন করবে, তখন কি সেই রাষ্ট্রটি যাকাতের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আঙ্গিকগুলোকে আলাদা রাখতে পারবে নাকি তিনটি আঙ্গিকই একটা আরেকটার সাথে একীভূত হয়ে যাবে?

আমার জ্ঞান খুব সীমিত, কিন্তু আমার বুঝ অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা রাখতে বলে না, বরং ইসলামিক উপায়ে রাজনীতি করতে বলে৷ ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা রাখার কথা উদ্ভূত হয়েছে মধ্যযুগীয় ইউরোপিয়ান রিফর্মেশনের যুগে, যখন ক্যাথলিক চার্চ ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের ও মুক্ত চিন্তকদের পুড়িয়ে মারছিলো, জমিজমার ফসল বিক্রি করার টাকা আত্মসাৎ করছিলো। ধর্ম ও রাজনীতির পৃথকীকরন একটা ওয়েস্টার্ন সেক্যুলার আইডিয়া, মুসলিম বিশ্ব থেকে যেমন এটির উদ্ভব ঘটেনি তেমনি ইসলামিক রাষ্ট্রের জন্য এটি প্রযোজ্যও নয়।

Mohammad Mozammel Hoque: ধর্ম আর রাজনীতির সম্পর্ক এমন এগুলো একও নয়, আবার পরস্পরের বিপরীত তথা মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভও নয়। They are not identical but necessary, এইটা যদি বুঝতে পারো তাহলে আমি কি বুঝাতে চাইছি সেটা অবশ্যই তোমার কাছে ক্লিয়ার হবে।

Fazlay Azim: ধর্মের একটি রাজনীতি শাখা বা অংশ, ধর্ম থাকলে রাজনীতি থাকবে। রাজনীতি ধর্ম ছাড়াও রুপান্তরিত হয়ে বিস্তার ঘটে। খোলাফায়ে রাশেদীন ধর্ম পালন করতে গিয়ে রাজনীতি করেছেন। তারপরেও রাজনীতি চলছে রুপান্তরিত হয়ে তার আগেও ধর্মহীন রাজনীতি ছিল। কেউ ধর্মের রাজনৈতিক রুপ বিশ্বাস ছাড়া ধার্মিক হতে পারেনা।

আল্লাহ বলেন,

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ﴾ [المائ‍دة: ٤٤]

“যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দিয়ে বিচার করে না, তারা কাফির।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৪৪]

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ﴾ [المائ‍دة: ٤٥]

“যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দিয়ে বিচার করে না, তারা যালেম।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৪৫]

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ﴾ [المائ‍دة: ٤٧]

“যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দিয়ে বিচার করে না, তারা ফাসিক।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৪৭

এছাড়া রিদ্দার যুদ্ধের কারনও প্রাসঙ্গিক।

Mohammad Mozammel Hoque: ধর্ম হলো রাজনীতির একটি শাখা বা অংশ, কথাটা ঠিক না। অথবা কেউ যদি বলে, রাজনীতি হলো ধর্মের একটা রূপ বা শাখা, সেই কথাটাও ঠিক না। বরং সঠিক কথাটা হলো, ধর্ম এবং রাজনীতির দুইটাই হচ্ছে মানুষের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুইটা বিষয় বা অনুসঙ্গ। এগুলো একটার সাথে একটা কানেক্টেড কিন্তু এক না। যেভাবে করে আমাদের হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস কানেকটেড কিন্তু ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

Ilham Malek: স্যার, আপনার পোস্ট যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু ১৯৭২-৭৫ সময়ে যখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল, তখনো কি রাজনৈতিক অস্থিরতা, সন্ত্রাস ছিল না? ইতিহাস বলে তখনো এসব ছিল। এসব সমস্যা সৃষ্টি করেছিল উগ্র বামপন্থী সংগঠনগুলো যেমন হাসানুল হক ইনুর জাসদ গণবাহিনী, সিরাজ শিকদারের পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি। এসব দল পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যাংক, পাটের গুদামে হামলা করেছিল, ঈদের জামাতে পর্যন্ত হামলা চালিয়েছিল। এসব বামপন্থী দলগুলো আবার ধর্মকে সকল অশান্তির মূল মনে করে। ইনুর মতো উগ্রবাদী কম্যুনিস্টরা এখন সাধু সেজে জঙ্গিবাদবিরোধী সবক দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনি কি বলবেন। এদেশের বাম রাজনীতির উগ্র রূপ নিয়ে আপনার একটি পোস্টের অপেক্ষায় আছি।

Mohammad Mozammel Hoque: এদেশে বাম রাজনীতি বামপন্থা বাম সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এগুলার উত্থানপর্ব শেষ। আগামীর দিন হচ্ছে ইসলামপন্থার বাংলাদেশ। এ নিয়ে আমার একটা চ্যালেঞ্জ আছে। এটি হলো, আগামী এক দশকেরও কম সময়ের ভিতরে ইসলামপন্থা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তির সমান্তরাল মূলধারা হয়ে উঠবে।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *