ঘোর বরিষার কালে এমনটি ঘটে মাঝে মাঝে। হঠাৎ করে কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। নামে ঝুম বৃষ্টি। প্রবল ঝড়ে মনে হয় আমরা ডুবে যাব এখনই। এরপর, মুহূর্তেই কেটে যায় সব মেঘ। দিগন্ত জুড়ে ভেসে ওঠে রংধনু। সূর্যের আভায় ঝলমল করে উঠে চারিদিক।
এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল আমার জীবনে।
গত মাসের একেবারে শুরুর দিক থেকে আমার ডান পাশে কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ঝিনঝিন, ব্যথা, ক্রমে অবস হয়ে আসা, এমন সমস্যায় ভুগছিলাম। এ অবস্থায় কেটে যায় কয়েক সপ্তাহ। মাসের শেষের দিকে অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় আমি দুই মিনিটও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতাম না। এমনকি শুয়ে থাকলেও সায়াটিক নার্ভের শুটিং পেইন থেকে মুক্তি ছিল না আমার। বিছানায় সবকিছু।
এ মাসের ২ তারিখ সন্ধ্যায় ঢাকার গ্রিন লাইফ হসপিটালে অপারেশন হলো আমার মেরুদন্ডে। দুইদিন পরে আল্লাহর রহমতে আমি হেঁটে গাড়িতে উঠে ফিরেছি বড় আপার সেগুনবাগিচার বাসায়। আজ ফিরে আসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাসায়। একটানা বসে না থাকার জন্য পথে পথে বেশ ক’বার থেমেছি।
গাড়ি চালিয়েছে সৌরভ। সাথে ছিল ফয়সাল। ছবিটা মিরসরাই এলাকায় তোলা।
ভাবছিলাম পুরো বিষয়টা চেপে যাব। পরে ভাবলাম, সুহৃদ, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের জানাই। আমার তরফ থেকে তেমন কাউকে না বলা সত্বেও কেউ কেউ কিভাবে যেন জেনে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ হাসপাতালে দেখা করতে গেছেন। অনেকে দূরে থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন। দোয়া করেছেন। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ আপনাদের রহম করুন, আ-মীন!
সপ্তাহখানেক ক্যাম্পাসে থেকে দশ দিনের জন্য ঢাকায় যাব ফিজিওথেরাপির একটা কোর্স সম্পন্ন করতে। বেটার লাইফ হসপিটালে। ইনশাআল্লাহ!
প্রচন্ড ভূমিকম্পে যেভাবে কোনো দেশের মানচিত্র পরিবর্তন হয়ে যায় কিংবা কোনো নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়, ঠিক সেভাবে এই ঘটনা আমার পরবর্তী জীবনের গতিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করবে। বুঝতেই পারছেন, চলাফেরা খুব রেস্ট্রিক্টেড। পায়ে ব্যথা নাই। রেস্টে আছি। নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছি।
আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্যই করেন, আলহামদুলিল্লাহ! বার্তা পাঠিয়ে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, তাই এই পোস্ট।