ন্যাচারাল হেবিটেট তথা পরিবেশ ধ্বংস করা যেমন প্রকারান্তরে ওয়াইল্ড লাইফ ধ্বংস করার সামিল, তেমনি আবাসাস্থল ও আশেপাশে অযথা হৈ-হল্লা করে পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করা হলো কোনো পাঠক ও লেখককে হত্যা-প্রচেষ্টার সামিল।

চিন্তাশীল কারো লেখালেখিতে বাধা সৃষ্টি করার মতো অতি বড় সন্ত্রাস আর হতে পারে না। চিন্তাভাবনা ও জ্ঞান-গবেষণার পরিবেশ নাই এমন কোথাও বসবাস করার চেয়ে জেলের কুঠুরীতে জীবনযাপন শ্রেয়তর, ভাবছি। এমতাবস্থায় অন্তত লিখতে না পারার আফসোসটা তো থাকবে না।

পড়ালেখার নিরুপদ্রপ পরিবেশ চাইছি। এই চাওয়াটা কি খুব বড় কোনো ডিমান্ড? অথবা, অসম্ভব কোনো চাওয়া? আমি মনের আনন্দে পড়ি। জানার জন্য পড়ি। যা অকপটে ভাবি, তা-ই লিখি। এই সব লেখালেখি দিয়ে কোনো প্রকারের বৈষয়িক সুবিধা চাই না।

আল্লাহর কাছে অগণিত শোকর, পড়ালেখার একটা চাকরী পেয়েছি। তাও ফিলোসফির মতো একটা মৌলিক সাবজেক্টে। আমাকে যারা ভালো জনেন, তারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে করে এমন পরিবেশ-পরিস্থিতি, আত্মীয়-স্বজন, ইনভলভমেন্ট, ব্যস্ততা, দারিদ্র্য ও সচ্ছলতা হতে বেঁচে থাকতে পারি যা বুদ্ধিবৃত্তি চর্চাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বুদ্ধিবৃত্তি একটা চর্চার ব্যাপার, নিরবচ্ছিন্নতার ব্যাপার। অখণ্ডভাবে চিন্তা করার ফুরসত ও একনাগাড়ে লিখতে পারার সুযোগ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়-চর্চা করে ‘বুদ্ধিবৃত্তির চাকরী করা’ যায়, সুশীল হিসাবে নাম ফাঁটানোও সম্ভব। কিন্তু, সৃজনশীল বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার জন্য চাই কমিটমেন্ট, ডেডিকেশান ও ডিভোশান।

যারা লেখাপড়ার সাথে জড়িত নয়, তারা এই কথাগুলোর কোনো ‘আগা-মাথা’ খুঁজে পাবে না। কেননা, বোকারা কখনো বুঝবে না, কেন তাদের বোকা বলা হচ্ছে। তাই, বোকাদেরকে বোকা বলাই হলো সত্যিকারের বোকামী। যাহোক, এই লেখাটাও সে ধরনের কোনো বোকামীসুলভ সময় ক্ষেপনের ব্যাপারই হলো কিনা জানি না।

লেখাটির ফেসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *