কোনো বিষয়ে what ধরনের প্রশ্নকে বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে how ধরনের ‘উত্তর’ দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করে।
কোনো বিষয়ে what ধরনের প্রশ্নকে দর্শন যুক্তির মানদণ্ড দিয়ে why ফরমেটে সমাধান করার চেষ্টা করে। যুক্তির বৈচিত্রের কারণে দর্শন কোনো বিষয়ে একক কোনো উত্তর দিতে ‘ব্যর্থ’ হয়। তৎপরিবর্তে সে সুনির্দিষ্ট কিছু বিকল্প ‘উত্তরের’ কথা বলে।
দিন শেষে ব্যক্তিমানুষ হিসাবে প্রত্যেককেই একটা নির্দিষ্ট অবস্থান গ্রহণ করতে হয়।
বৈকল্পিক যুক্তির মধ্য হতে ব্যক্তিমানুষ একটাকে ‘সঠিক উত্তর’ হিসাবে গ্রহণ করে।
এ পর্যায়ে এসে মুক্ত দর্শন গণ্ডীবদ্ধ ধর্মের রূপ পরিগ্রহ করে।
এর গত্যন্তর নাই।
তাই, দর্শন স্বয়ং মুক্ত স্বভাবের হলেও দার্শনিক তথা ব্যক্তি মাত্রই সুনির্দিষ্ট অবস্থানে নিজেকে চিহ্নিত করতে বাধ্য। হোক সেটা অজ্ঞাতবাদ, সংশয়বাদ বা নৈরাজ্যবাদ।
এই জ্ঞানতাত্ত্বিক সংকটাবস্থার (epistemic predicament) জন্যই দেখা যায়, বিজ্ঞান চর্চাকারীরা অধিকতর অগ্রসর হতে গেলে দর্শনের সাগরে হাবুডুবু খেয়ে অবশেষে কোনো না কোনো বিশ্বাস-ব্যবস্থার আশ্রয়ে নিজেকে ‘মুক্ত’ ভেবে নির্বাণ লাভ করে ধন্যবোধ করে।
হ্যাঁ, অজস্র শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানতাত্ত্বিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিজেকে সঠিক, খাঁটি ও মুক্ত ভাবার জন্য এক কল্যাণদায়ী শুদ্ধ বিশ্বাসই আমাদের ভেতরকার চালিকা শক্তি।
এই দৃষ্টিতে বলতে পারেন, প্রচলিত কোনো কিছুতে অবিশ্বাসও এক ধরনের বিশ্বাস বটে।
বিশ্বাসের নিঃশ্বাস নিচ্ছি বলেই তো আমরা বেঁচে আছি।
বিশ্বাস করুন, ঈশ্বর নয়, স্বর্গ নয়, বিশ্বাস-ব্যবস্থাই ধর্মের সাবর্জনীন পরিচয়।
আলোচনাটির ভিডিও: