যখন খানিকটা অবসর পাই তখন একাকিত্ব এসে ভর করে।
একাকিত্বকে ভীষণ ভয় পাই।
একাকিত্বের চেয়ে বেশি কষ্টের কিছু নাই।
একান্ত কথাটা শোনার মতো যখন কেউ থাকে না;
কথা বলতে হয় যখন হিসেব-নিকেশ করে;
মুখ ফুটে না বললে কেউ বুঝে না মনের কথা;
অথবা, শুধু চেয়ে থাকা, খানিকটা স্পর্শ, অনুভবের ভাষায় কথা বলা,
এমন কেউ যখন থাকে না পাশে;
সেই পরিস্থিতিকে আমরা বলি একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা।
একাকিত্ব নয় জনহীনতা।
একাকিত্ব পেয়ে বসতে পারে জনারণ্যে।
হতে পারে কেউ নেতা, অথচ নিঃসঙ্গ, একা।
হতে পারে, সবার সুখ নিশ্চিত করে যে,
তার কষ্টের কথাটা কেউ শুনতে চায় না।
ভাবতে পারে না, যারা দিয়ে যায় অকাতরে,
তাদেরও মাঝে মাঝে পেতে ইচ্ছে করে, অযাচিতভাবে।
কাছের লোকেরাও যখন শুধু পেতে চায় সুবিধে,
নিতে চায় না কষ্টের ভাগ,
একাকিত্ব তখন ভর করে বসে মনের জমিনে।
একাকিত্বের একটাই লাভ।
একাকিত্বে আমরা খুঁজে পাই নিজেকে নিজে।