১.
জ্ঞান ও প্রশ্নের তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্ক:
জ্ঞানের সাথে প্রশ্নের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। প্রশ্ন থাকাই প্রমাণ করে ব্যক্তিমাত্রই এক একজন জ্ঞান-কর্তা বা cognitive agent।
প্রতিটা প্রশ্নই loaded question।
ইনফরমাল লজিকে loaded question fallacy নামে একটা ফ্যালাসি আছে। এর মানে হলো, কোনো কিছু কেউ করেছে কিনা তা নিশ্চিত না হয়ে ‘কেন তুমি এটি করেছ?’ – এমন প্রশ্ন করা যাবে না। করলে তা লোডেড কোয়েশ্চন ফ্যালাসি হিসাবে গণ্য হবে।
বৃহত্তর অর্থে, প্রশ্ন মাত্রই কিছু ‘উত্তর’ সমৃদ্ধ বিবৃতি।
এর মানে হলো, আমরা সব কিছুকে প্রশ্ন করে জানি না। কেননা, প্রথম প্রশ্নটি করার জন্য যে সব পূর্ব স্বীকার্য মেনে নিতে হয়, তা আমরা কোত্থেকে পেলাম, এমন প্রশ্ন এড়ানো অসম্ভব।
তাই, আর্গুমেন্টের সার্কুলারিটি এড়ানোর জন্য ‘কিছু জ্ঞান’ দিয়েই জ্ঞান অর্জনের শুরু করতে হয়।
এই দিক থেকে আপাতঃদৃষ্টিতে বুদ্ধিবাদকে সঠিক মনে হলেও প্রারম্ভিক বুদ্ধি তার অন্তর্গত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে স্বজ্ঞাত বা intuitive।
২.
যুক্তি ও বিশ্বাসের ক্রমসোপানমূলক সম্পর্ক:
যুক্তি না থাকলে কোনো কিছু জ্ঞান বিবেচ্য হবে না।
যুক্তি একরৈখিক না। বরং, যুক্তি বহুমাত্রিক।
রংয়ের জগতে যেমন বহু, যুক্তির বাস্তবতাও তেমনি বৈচিত্রপূর্ণ।
যে যুক্তিকে আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি, তাকে আমরা ‘প্রমাণ’ হিসাবে হাজির করি, সত্য হিসাবে গ্রহণ করি, জ্ঞান হিসাবে দাবী করি।
কেন এক একজনের কাছে এক এক ধরনের যুক্তি অধিকতর গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়?
আমাদের অন্তর্গত বিশ্বাস বা দৃষ্টিভংগীই সেই কারণ যা আমাদের কাছে ‘সত্য’কে নির্মাণ করে।
আমাদের ‘নির্মিত সত্য’ যে আসলেই সত্য তা আমরা কীভাবে জানবো?
না, উপায় নাই।
বিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত ভরসা।
৩.
তাইতো বলেছিলাম, we have to believe to live, no matter what we believe.