কথায় বলে, কার গরুকে কে ধোঁয়া দেয়। মশার উপদ্রব থেকে গরুদেরকে খানিকটা বাঁচানোর জন্য আমরাও ছোট থাকতে গোয়াল ঘরে শুকনো গোবর, ধূপ ইত্যাদি জ্বালিয়ে সন্ধ্যায় ধোঁয়া দিতাম।
এ কথার মানে হলো, প্রত্যেকে নিজের কাজকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। নিজের যা কিছু তার সর্বোচ্চ যত্ম মানুষ নেয়। সামষ্টিক কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মানুষ ততটা প্রাণপণ হয় না, যতটা হয় নিজের কোনো উদ্যোগে।
আমি পুঁজিবাদের পক্ষে নই। সমাজতন্ত্রী তো নই-ই। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানার প্রতি মানুষের এই অন্তর্গত টানকে কীভাবে অস্বীকার করি, বলেন?
আধুনিক, মধ্য বা উচ্চবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত নারীদের কাজ-কারবার দেখলে বুঝা যায় ব্যক্তি মালিকানা তথা কোনো কিছুকে একান্ত নিজের মনে করার মাজেজা কী! নিজের সংসার হওয়ার পরে এরা কোমর বেঁধে সংসার গোছানোর কাজে নেমে পড়ে। বাচ্চা হওয়ার পর তো হেন কোনো কাজ নাই যা তারা সোৎসাহে করে না। অথচ, স্টুডেন্ট লাইফে ওই মেয়েটিই, প্রায়শ দেখা যায়, কোনো দিনও ঘরের কোনো কাজ করে নাই।
অস্বীকার করার সুযোগ নাই, ব্যক্তিমালিকানা ব্যবস্থাতেই মানুষের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ও স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ ঘটে।
ফেসবুকে প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Mohammad Mozammel Hoque: [“শুধু নারী কেনো? পুরুষের ক্ষেত্রেও তো তাই” – এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে]
অবশ্যই। সবার ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
একটা কিছু সব জায়গায় সমানভাবে থাকলেও সব অবস্থান হতে তা সমানভাবে বা ততটা স্পষ্টভাবে লোকেইট করা যায় না।
আধুনিক শিক্ষিত নারীদের বিবাহ-পূর্ববর্তী ও বিবাহ-পরর্তী জীবনধারাকে বিশ্লেষণ করলে সহজেই টের পাওয়া যায়, মানুষের মজ্জাগত আত্মস্বার্থচিন্তার গভীরতা কতখানি।