যদি চাও ভালোবাসাময় জীবন, তাহলে মনে রাখবে, সম্পর্ক মাত্রই হলো একটা যত্ন নেয়ার ব্যাপার। ঠিক একটি চারা গাছের যত্ন নেয়ার মতো। একটা শিশুকে লালন পালন করার মতো।

ভালোবাসার রসায়নে আবেগটাই মুখ্য। চাওয়া-পাওয়ার হিসাবটা নিতান্ত গৌণ। বিশেষ করে বৈষয়িক প্রাপ্তির বিষয়গুলো।

মনে রাখবে এই কথাটি,

Love grows spontaneously, it cannot be made by agreement. To fall in love with someone and to have a lovely relation with someone, these two are distinct aspects. The earlier one could be one-sided, but the later one must be reciprocal. Moreover, for whatever reason, when love is gone, when the time is over, nothing can back it again.

মানবিক অনুভূতিগুলোকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। চুক্তি করে ভালোবাসা যায় না। প্রেমের কোনো চুক্তি হয় না।

ভালোবাসা গড়ে ওঠে অন্তর থেকে। প্রেম-প্রীতি পূর্ণ সৌহার্দ্যমূলক আচরণে ঘটে তার বহিঃপ্রকাশ। যদি ভালোবাসো কাউকে, অকপটে বলো, ‌‘ভালোবাসি’। ভালোবাসার চেয়ে দামি কিছু নাই এই বিশ্বজগৎ সংসারে।

প্রতিদিন আমরা বিধাতাকে বলি, ‌‘ভালোবাসি, তোমাকে ভালোবাসি’! এমনকি, কীভাবে আমরা বলবো, আমাদের ভালোবাসার কথা তাঁকে, সে কথাটাও তিনি শিখিয়ে দিয়েছেন আমাদেরকে।

সত্যিকারের ভালোবাসাকে রুদ্ধ করা যায় না। সামাজিক চুক্তি দিয়ে সত্যিকারের ভালোবাসা তৈরি করা যায় না। ব্যক্তির সাধারণ চাওয়ার বিরুদ্ধে অজ্ঞাতে একেবারে ভিতর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠে সত্যিকারের ভালোবাসা। কবিতা লেখার মতো করে গড়ে ওঠে ভালোবাসা।

ইচ্ছে করে কবিতা লেখা যায় না। ভাষাগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কেউ যদি কবিতার মতো করে সাজায় কোনো কিছু, আমরা জানি, শেষ পর্যন্ত তা কবিতা হয়ে ওঠে না। পায় না পাঠকপ্রিয়তা।

সবাই যেমন কবি হয় না, তেমনি সব মানুষেরা হয় না ভালোবাসাময় প্রেমিক প্রকৃতির। যে পুরুষ প্রেমিক প্রকৃতির ভালোবাসাময় সে খুঁজবে তেমন নারীকে অজ্ঞাতে অবচেতনে। তেমন নারী ঠিকই খুঁজে নিবে উপযুক্ত প্রেমিক পুরুষ, তার পছন্দের ভালোবাসাময় মানুষটিকে।

প্রেম ভালোবাসা নিয়ে আমাদের সমাজে কিছু অযৌক্তিক ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে। সাহিত্য-সংস্কৃতি নাটক-সিনেমা এবং ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা-আড্ডাতে এই সব উৎকল্লপনাকে করা হয়েছে বদ্ধমূল।

মানুষের একান্ত ব্যক্তিজীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই ভুল ধারণার রয়েছে দুইটি বিপরীত প্রান্তিকতা।

একদিকে মনে করা হয়, প্রেম মানে হচ্ছে যৌনতা, ভালোবাসা মানে শারীরিক সম্পর্ক। অন্যদিকে মনে করা হয়, যৌনতা আর শারীরিক সম্পর্ক যেন প্রেম-ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত কিছু নয়। এই গোলমেলে বিষয়টাকে কিছুটা পরিষ্কার করার জন্য সম্প্রতি আমি ‌‘ভালোবাসার মানচিত্র’ শিরোনামে একটা পোস্টার তৈরি করেছি।

আমি মানুষের মানবিক সম্পর্কের বিষয়গুলো নিয়ে খোঁজ-খবর রাখি, জানার চেষ্টা করি, ব্যক্তিগত পর্যায়ে এগুলো নিয়ে কাজ করি। আমার কাছাকাছি যারা থাকেন তারা জানেন, মানবিক সম্পর্ক নিয়ে আমার ধ্যান-ধারণা এবং জ্ঞান-গবেষণা যথেষ্ট ভালো।

যারা আমার লেখালেখি পড়েন তারা এসব বিষয়ে কিছুটা ধারণা রাখেন। আমি মনে করি, এসব বিষয়ে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করা জরুরি।

লেখাটির ফেসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *