গত দুইদিন আমার কেটেছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে।

আমার চোখ উঠেছে। অর্থাৎ Conjunctivitis হয়েছে। এরইমধ্যে “বিশ্বাস ও যুক্তি, কোনটা আগে?” শিরোনামে একটা ফেইসবুক লাইভ করেছি। অহনিশ ফিল্মের হাসান আল বান্নার সাথে। আমরা ভাবছিলাম ঘণ্টাখানেক আলোচনা করবো। কিন্তু দর্শকদের আগ্রহে সেটা প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছে।

ওয়ানস এগেইন বুঝতে পারলাম, ফিলসফির ব্যাপারে লোকজনের আগ্রহ ইদানিং অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে ইসলামপন্থী লোকজনের মধ্যে।

গতকালকে পৌনে তিন ঘণ্টার একটা দীর্ঘ জুম মিটিং করেছি, যাতে নারীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। আলোচনার বিষয় ছিল “নারী-পুরুষের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এবং শরীয়তের নির্দেশনা”। মূল আলোচনা উপস্থাপনা করেছেন নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন একজন নারী। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। ইউটিউবে ‘সামাজিক আন্দোলন‘ চ্যানেলে এটি পাওয়া যাবে।

যারা নারীদের কর্মসংস্থান ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের ঘোরতর বিরোধী তারা এই আলোচনার অংশবিশেষের ভুল ব্যাখ্যা করে বেশ কয়েকটা পোস্ট দিয়েছেন‌। এবং মনে হচ্ছে, এটি তাদের খুব লেগেছে।

এরমধ্যে ঘটেছে আরেক ঘটনা।

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র‘ সংশ্লিষ্ট আমার কাজের অংশ হিসেবে ‘কেন আপনি আসিফ মহিউদ্দিনের সাথে লাইভে ডিবেট করতে আগ্রহী নন‘ শিরোনামে একটা সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি করে প্রচার করেছি কয়েকদিন আগে।

সেইটার প্রেক্ষিতে জনাব আসিফ মহিউদ্দিন আমার নাম উল্লেখ করে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পরশু রাত্রে। সেখানে উনার লোকজন নানা ধরনের কথাবার্তা বলেছেন ফ্রি স্টাইলে। গতকাল সকালে তিনি আমাকে একটা মেসেজ দিয়েছেন, যেটির আমি উত্তর দিয়েছি সাথে সাথে। ব্যক্তিগত সেই মেসেজে উনি অবশ্য আমার সাথে কথা বলেছেন মার্জিত ভাষায়।

দেখা যাচ্ছে, আমার বিরোধিতায় নেমেছেন কট্টর ধর্মবাদী এবং নাস্তিক বিজ্ঞানবাদীরা, যার যার অবস্থান থেকে। ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং।

আমার বিরোধিতাকারীদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ, তাদের এসব স্ট্যাটাস শেয়ারিং এবং কমেন্টের কারণে আমার লেখা ও কথাগুলো এমন সার্কেলে পৌঁছে যাচ্ছে যেখানে আমার অ্যাকসেস ছিল না।

আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *