The difficult teenager-এর প্রশ্ন: স্যার, সিফাত (গুণ) আর এন্টিটি (সত্তা) তো এক নয়, তাই না? আই মিন, একই সাথে কি সিফাত আর এন্টিটি চিরস্থায়ী হওয়া সম্ভব? স্রষ্টার ক্ষেত্রে?

আমার উত্তর: আল্লাহর সিফাতগুলো জগতের তুলনায় চিরন্তন। কিন্তু তাঁর সত্তাগত অস্তিত্বের তুলনায় তাঁর সিফাতগুলো অ-চিরন্তন।

জগতের সাপেক্ষে আল্লাহ আর জগতবিহীন বা জগত-পূর্ব আল্লাহ – আল্লাহ তায়ালার এই দুইটা অবস্থা ধারণাগতভাবে ভিন্নতর। স্রষ্টা সম্পর্কে এই দুই ধরনের ধারণার মধ্যে পার্থক্য আছে।

তাঁর গুণাবলী তাঁর সত্তারই অংশ। অথচ তিনি তাঁর গুণাবলীর সমষ্টি মাত্র নন।

স্বীয় বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে তাঁর সত্তা অজ্ঞেয়। কিন্তু জগতের অস্তিত্ব থাকা সাপেক্ষে অর্থাৎ জগতের দিক থেকে দেখলে বা জানতে চাইলে তিনি জ্ঞেয়।

খোদার সত্তাকে আমরা স্বরূপগতভাবে জানতে পারি না। কিন্তু তাঁর বৈশিষ্ট্যের কিছু কিছুকে জানতে পারি। কথাটা এভাবেও বলা যায়, তাঁর সৃষ্টি হিসেবে তাঁর অখণ্ড বৈশিষ্ট্যের কিছু খণ্ডচিত্র সম্পর্কে আমরা সীমিতভাবে জানতে পারি। এবং এর মাধ্যমে তাঁর অস্তিত্বশীল থাকাটাকে বুঝতে ও জানতে পারি।

অসীমের সাথে সসীমের সম্পর্ক কী হওয়া যুক্তিসঙ্গত তা যদি আমরা বিবেচনা করি তাহলে উপরের কথাগুলো সহজে বুঝতে পারার কথা।

উপরের আলোচনা থেকে দেখা গেল, জগত ও সৃষ্টিকর্তার পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে দুটি:

  1. from world to God and
  2. from God to world.

জগতের দিক থেকে দেখলে, ইচ্ছার স্বাধীনতা একটা অপরিহার্য পূর্বশর্ত। একই সাথে তা অনস্বীকার্য, প্রায়োগিক ও বাস্তব সত্য।

‘ইচ্ছার স্বাধীনতা আছে কি?’ বা ‘ইচ্ছার স্বাধীনতা নাই’ – এ ধরনের যত কথাই বলা হোক না কেন, ইচ্ছার স্বাধীনতা আছে বলে ধরে নেয়াটা এসব কথার পূর্বশর্ত। প্রকৃত ইচ্ছার স্বাধীনতা যদি না-ই থাকে তাহলে ইচ্ছার স্বাধীনতা নিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন করার জন্য যে ‘ছদ্ম ইচ্ছার স্বাধীনতা’ থাকা জরুরি তা আসলো কোত্থেকে?

When there is no reality, there cannot be any possibility. Ontologically, the relation between reality and possibility is inseparable and necessary.

এর পাশাপাশি, ঈশ্বরের দিক থেকে দেখলে, ঈশ্বর ছাড়া অন্য কারো প্রকৃত স্বাধীনতা থাকা যৌক্তিকভাবে অসম্ভব। সেই অর্থে, I mean, from God to world, it is logically impossible and inconsistent for some entity to have intrinsic real and full freedom.

এসব কিছুই নির্ভর করছে আমাদের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা বা কারণ নির্ণয়, জগতের অস্তিত্বের কারণ বা ব্যাখ্যা, আমাদের সাথে জগতের সম্পর্ক কি হবে তা নির্ণয়ের ওপরে। এই কাজ করতে গিয়ে যখন আমরা নিজেদেরকে সসীম, সৃষ্ট, ও অপূর্ণ হিসেবে বুঝতে পারি এরই এক পর্যায়ে অসীম, অনন্ত ও পরম হিসাবে এক মহান সৃষ্টিকর্তার ধারণায় আমরা উপনীত হই।

এর পরের হিসাবটা খুবই সহজ ও যুক্তিসঙ্গত। যুক্তির বাইরে কিছু নয়। আসুন সর্বদা থাকি বুদ্ধির অনুকূলে। স্রষ্টা বিশ্বাসের চেয়ে অধিকতর যুক্তিসঙ্গত ও জরুরী কিছু হতে পারে না।

The difficult teenager: আর তাকদীরের ব্যাপারটা?

আমার মন্তব্য: আল্লাহর দিক থেকে তাকদীর নির্ধারিত হওয়াটা যুক্তিসঙ্গত। আল্লাহ তায়ালার মোকাবেলায় কারো ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকাটা তাঁর সত্তার বৈশিষ্ট্যকে বরং ক্ষুন্ন করে।

The difficult teenager-এর মন্তব্য: কাল একজনের পোস্ট দেখলাম, সেখানে আকিদাগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় বললো, মানুষ তার ইচ্ছায় যে কর্মের সিদ্ধান্ত নেয় সেটাও আল্লাহ ইচ্ছা করেছেন বলে। একটা হলো আমি ইচ্ছা করেছি তাই আল্লাহ বাধা দেননি। আর এই বাধা না দেয়াটাও একটা ইচ্ছা। আরেকটা হলো আল্লাহ আগে থেকেই ইচ্ছে করেছেন বলেই আমি চেয়েছি। দ্বিতীয় প্রকার ইচ্ছেটা দেখলে বলতে হয়, আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ইচ্ছাটাও আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। অনেকটা পুতুলনাচের মতো। উপর থেকে একজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আর সেই পুতুলের ভূমিকায় আমি। অথচ আমি ভাবছি যে আমিই ডিসাইড করছি…!

আমার রেসপন্স: খোদার দিক থেকে আমাদের অবস্থা ঠিক পুতুলনাচের মতো ব্যাপার। উপরে বলেছি, from God to world, the world is deterministic. It has to be deterministic. Otherwise, God will not be God at all.

For this apparent ‘inconsistency’ or ‘contradiction’ if we drop the idea of God then we are left with the original and fundamental problem, the problem to explain the cause or meaning of our this very real existence, existence of the world and everything that we experience around us.

মনে করো, খোদা আছেন অথচ তিনি জানেন না মানুষ কী করবে; তাহলে তিনি খোদা হন কীভাবে? তুমি বলতে পারো, তাহলে মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা কোথায়?

মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা মানুষের দিক থেকে বিবেচনাযোগ্য। খোদার দিক থেকে নয়। তুমি জানো কিনা জানি না, এমনকি বস্তুবাদী, অজ্ঞেয়বাদী ও নাস্তিকদের দৃষ্টিতেও the world is deterministic. There is no scope of any intrinsic freedom of will. Everything is determined by universal physical and natural laws. That’s why they introduce the compatibility theory by which the attempt to reconcile between the notion of freedom of will and the unintentional natural laws.

The difficult teenager এর মন্তব্য: জ্বি, স্যার। এতক্ষণে বুঝলাম। মানুষ তাই করতে পারে যা করার জন্য তাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। যেমন, মানুষ চাইলেই উড়তে পারে না। কারণ অভিকর্ষ বল তাকে নিচে টানে। এভাবে সব কিছুই। সে যতদূর যা চিন্তা করুক, চিন্তার উপাদান সে তার জানাশোনা জগত থেকেই অর্জন করে। এর বাহিরে থেকে বিবেচনা করতে চাইলে সে ধরনের স্বাধীন (?) চিন্তার ক্ষেত্রেও রয়েছে তার সত্তাগত সীমাবদ্ধতা। যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্তের বেলায়ও ব্যাপারটা হয়তো তাই।

পোস্টটির ফেসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *