প্রথমত: যদি সুপ্রিম অথরিটি হিসেবে ঈশ্বরকে মেনেই নেই তাহলে যুক্তি তর্কে যাওয়ার প্রয়োজন কী?
সেক্ষেত্রে তো “সামি’না ওয়া আত্ব’না” শুনলাম এবং মেনে নিলাম, এটাই তো যথেষ্ট। আমি যেই দৃষ্টিকোণ থেকে ফিলসফিক্যাল আলোচনা শুনতে চেয়েছি তা হচ্ছে—
“কোনো সুপ্রিম অথরিটি/কিংবা আল্লাহ বলে কোনো কিছু থাকবে না। যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা হবে যে আল্লাহ আছেন। সেই জায়গা থেকে আমার মনের চাহিদা পুরুণ হয়নি।
দ্বিতীয়ত: সেই সুপ্রিম অথরিটি আল্লাহ, নাকি নেচার??
মুসলিম হিসেবে আমি অবশ্যই চাইছি যে সেই সুপ্রিম অথরিটি আল্লাহই প্রমাণিত হোক। কিন্তু, আলোচনাটিতে সেটা প্রমাণিত হয়নি। অথবা, আমি বুঝতে পারিনি…
তৃতীয়ত: আলোচনার উপসংহারে মোটামুটি প্রমাণ করা হয়েছে যে সুপ্রিম অথরিটি বলে একটা কিছু আছে। সেই প্রমাণটা এভাবে দেখানো হয়েছে যে, যেহেতু আমাদের চিন্তা, কর্ম সীমাবদ্ধ। সেই সীমা অতিক্রম করার সাধ্য আমাদের নেই।
তারমানে, আমি অক্ষম বলে বাধ্য হয়ে গডকে মেনে নিচ্ছি। এটাকে কি শক্তিশালী প্রমাণ বলা যায়? অক্ষমতাকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করা তো দুর্বলতার লক্ষণ।
এতো গেল বিষয়বস্তু নিয়ে মতামত। আলোচনার বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটা কথা বলি:
ধরুন, একজন নাস্তিক/প্রকৃতিবাদী আপনাকে বললো, পৃথিবীর কোনো স্রষ্টা নেই। প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফলে এমনি এমনিই পৃথিবী এবং পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে!
আপনি বললেন, বিবর্তনের ফলে কি এমন সুশৃঙ্খলিত, সুনিয়ন্ত্রিত কোনো কিছু তৈরি হওয়া সম্ভব?
তখন ঐ নাস্তিক বা প্রকৃতিবাদী আপনাকে বললো, একাকী যখন কিছুই সৃষ্টি হয় না, তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করলো?
যুক্তির দিক থেকে এই প্রশ্নের উত্তর কী হবে??
“যুক্তি-বুদ্ধির দৃষ্টিতে তাকদীর বিশ্বাস” শিরোনামে আমার একটা দীর্ঘ ভিডিও বক্তব্য দেখে একজন দর্শক উনার এক পরিচিতের কাছে উপরোক্ত মন্তব্য/প্রশ্ন করেছেন। উক্ত মন্তব্যকারীর সেই পরিচিতজন মাস কয়েক আগে অনুষ্ঠিত প্রায় আড়াই ঘণ্টার ওই দীর্ঘ আলোচনাতে অন্যতম অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মন্তব্য ও প্রশ্নগুলো আমার কাছে পাঠিয়ে মতামত চেয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে গতকাল আমি এই ভিডিওটি তৈরি করেছি।