মামুনের কবর জেয়ারত করার জন্য গিয়েছিলাম। আজ বিকালে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ‌একপাশে একটা পাহাড় অর্ধেক কেটে কবরস্থান বানানো হয়েছে। সেটার গোড়ায় মামুনকে কবর দেয়া হয়েছে। জানতাম। কারণ, দাফনের সময়ে আমি ছিলাম। পরে কবরটার লোকেশন ভুলে গেছি। তাই, মামুনের ঘনিষ্ট ছিলো, ওর সমবয়সী উত্তর ক্যাম্পাসের একজন কর্মচারীকে অনুরোধ করেছি মামুনের কবরটা চিনিয়ে দিতে। আমার ফোন পেয়েই মোহাম্মদ আলী কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এসে অপেক্ষা করছিল। এরপর মামুনের প্রিয় ‘মিতুল আপা’কে সাথে নিয়ে শ্রাবণের এই বৃষ্টিভেজা গোধূলি বেলায় খালি পায়ে প্রিয় মামুনের কবরের পাশে ঘাসের উপর দাঁড়িয়ে আবেগের কিছু অবাধ্য অশ্রু বিসর্জন দিয়ে আসলাম।

সেন্ট্রাল মস্ক। ছাত্রজীবনে আমরা এভাবেই বলতাম। কতো প্রোগ্রাম এখানে করেছি…! এখানকার প্রতিটা ইট, বালুকণা, প্রতিটা ইঞ্চি জায়গা, আমাদের কতো পরিচিত…! আপন! কতো শপথ, উদ্দীপনা, আবেগ, ইবাদত করেছি এখানে…! আজ সব স্মৃতি।

জয়নাল ভাই এখানকার খাদেম। পুরনোদের মধ্যে একমাত্র তিনিই এখনো এখানে আছেন। আমাকে দেখে এগিয়ে আসলেন। কুশলাদি জিজ্ঞাসা করলেন। ইমোশনালি বললেন, ‘এখন তো আসেন না!’ ঠিকই বলেছেন। এদিকে আসা হয় না তেমন আর। কদাচিৎ কোনো শিক্ষকের জানাজা পড়ার জন্য আসা হয়। দক্ষিণ ক্যাম্পাস হতে সামান্য পথ। অথচ, কত দূর! যেন অনতিক্রম্য।

সেন্ট্রাল মস্কের তখনকার সেই কোলাহলমুখর পরিবেশ, জৌলুস আর এখনকার এই জনবিরল গরিবী হালত দেখে মনে হলো, সুবিশাল ও দৃষ্টিনন্দন একটা বিল্ডিং থাকলেই কোনো মসজিদ, মসজিদ হয়ে উঠে না। তেমন মুসল্লি আর কার্যক্রম থাকলেই তবে, কোনো মসজিদ জীবন্ত হয়ে উঠে।

ছবিতে বা দিক থেকে হেলাল, আমীন, আমি, মাঈনুদ্দীন ভাইয়ের কোলে আমার মেয়ে মাহজুবাহ আর বিছানায় শোয়া মামুন।
ছবিতে বা দিক থেকে হেলাল, আমীন, আমি, মাঈনুদ্দীন ভাইয়ের কোলে আমার মেয়ে মাহজুবাহ আর বিছানায় শোয়া মামুন।

প্রথম ছবিটা আজকের। আর দ্বিতীয় ছবিটা মামুন মারা যাওয়ার ৩-৪ দিন আগে হাসপাতালে তোলা। ছবিতে যাকে শোয়া দেখা যাচ্ছে ও-ই মামুন। প্রফেসর হারুন-অর-রশীদ [Md Harun Ar Rashid] স্যারের বড় ছেলে। আমার ডান পাশে হারুন স্যারের ছোট ছেলে আমিন।

এই সুবাদে মামুনকে নিয়ে আমার পুরনো লেখাটাও এখানে কপি করে দিলাম।

“বহুদিন পর হারুন স্যারের ছেলে মামুনের কথা মনে পড়লো। ‘যখন থামবে কোলাহল, ঘুমে নিঝুম চারিদিক’ – রুনা লায়লার এই গানটা শুনতে গিয়ে। ওর প্রিয় গান ছিলো এটি। ক্যানসারে পা কেটে ফেলার পরে বাসায় বসে সময় কাটানোর জন্য ও অনেক গান শুনতো।

বিয়ের পরে একদিন আর্টস ফ্যাকাল্টির নিচতলা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে মামুন পিছন থেকে এসে মিতুলের চোখ হাত দিয়ে ঢেকে দিয়ে আমাকে ইশারা করলো, যাতে কে না বলি…!

স্টুডেন্ট লাইফে হারুন স্যারের উত্তর ক্যাম্পাসের বাসায় মিতুল প্রায়ই যেতো। স্যারের দুই ছেলে। মিতুলকে উনারা মেয়ের মতো স্নেহ করতেন। মাঝে মধ্যে ওই বাসায় থাকতোও। তখন গল্প শোনার জন্য মামুন-আমিন মিতুলের সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করতো। সেই মিতুল আপা যে টিচার হয়ে গেছে, ও যে আর ফুলকুঁড়ি করা বাচ্চা নাই, সেটা ওর মনে নাই। এমন নির্মল সুন্দর সম্পর্ক ছিলো মুক্তিযোদ্ধা অথচ জামায়াত নেতা হারুন স্যার, ভাবী (মিতুলের চাচী) আর মামুন ও আমীনের সাথে।

হারুন স্যার বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে আনশিডিউলড আমাদের কারো বাসায় আসলে আমরা ধারণা করতাম, আজ খুব সম্ভবত মামুনের কেমো দেয়ার ডেট। মামুনকে এম্বুলেন্সে করে শহরে নেয়ার আগেই স্যার কোনো অজুহাতে বাসা হতে বের হয়ে যেতেন। অপত্য স্নেহ এত অন্ধ ছিলো যে, ডাক্তার, নেছার ভাই ও সব শুভাকাঙ্খীদের বার বার বলা সত্ত্বেও স্যার মামুনের পা কাটার জন্য সময় মতো সম্মতি দিতে ব্যর্থ হন। ইন্ডিয়া থেকে ঘুরে আসার পরও কোনো উন্নতি না হওয়ায় এক পর্যায়ে হাঁটুর উপর হতে এক পা কেটে ফেলা দেয়া হয়।

তবুও ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। পুরো শরীর টিউমারে ভরে যায়। মামুন মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান হাসপাতালে মাঈনুদ্দীন ভাই আর আমি মিলে মামুনের জন্মদিন পালনের জন্য ফুল আর কেক নিয়ে গেলাম। জন্মদিনের তারিখটা তখনও ক’দিন বাকি। মামুন হাসিখুশিই ছিলো। বললো, ‘মোজাম্মেল ভাই, জন্মদিন পর্যন্ত হয়তো আমি থাকবো না।’

যেদিন সন্ধ্যায় মারা গেলো রাজিয়া আপা নাকি সেখানে ছিলেন। শুনেছি, মামুন বলেছে, ‘চাচী আমি অনেক ফুল, পাখি, সুন্দর বাগান এসব অনেক কিছু দেখতে পাচ্ছি। আপনি নামাজ পড়ে নেন।’ উনি নামাজ পড়ে দেখেন, মামুন আর নাই…!

সেই মামুন, আজ প্রায় বিশ বছর ঘুমিয়ে আছে চবি কেন্দ্রীয় মসজিদ লাগোয়া পাহাড়ের পাদদেশে চিহ্নহীন এক কবরের মিশে যাওয়া গহ্বরে…!!!”

ফেসবুকে প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

Mojibur Rahman Monju:  Mohammad Mozammel Hoque ভাই ও Shamsun Nahar Mitul আপা, মনটা খুব ভারাক্রান্ত হয়ে গেল।

চোখের সামনে মামুনের চেহারাটা ভাসছে। তার কবরের সামনে কখনো সুস্থির হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। হৃদয় মন দুমড়ে মুচড়ে যেত। অনেকদিন পর জয়নাল ভাইকে দেখে খুব ভালো লাগল। মামুনের সাথে মাইনউদ্দিন ভাই, হেলাল ভাই, আমিন ও মাহজুবাকে দেখে মনটা ছুটে গেল অনেক অনেক দূরে। আমরা আজ সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়েছি কত দিকে। একদিন হয়তো মামুনের মতো আড়ালে চলে যাব সবাই। তবুও সেদিনগুলো স্বাক্ষী হয়ে থাকবে অসীম ভালোবাসা আর টলমলে চোখের জলের মত পবিত্র হয়ে …

Abdul Wahab: মামুনকে দেখিনি, চিনতামও না। মোজাম্মেল ভাই ও মঞ্জু ভাইর লেখা আমাকে কল্পিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে গেল। আল্লাহ মামুনকে জান্নাতবাসী করুন।

Sadi Coleridge: অনেক পুরাতন স্মৃতি মনে পড়ে গেল। জীবনে যে কয়টা মৃত্যু মনে দাগ কেটে গেছে ক্ষত হয়ে আজীবনের জন্য তার মধ্যে মামুন ভাইয়ের মৃত্যু অন্যতম। যা এখনো মনে পড়লে বুকের বা পাশে মোচড় দিয়ে উঠে ।

Mohammad Mozammel Hoque: তোমার বাবার মৃত্যুও তেমনি হৃদয়বিদারক, কষ্টের!!! ইচ্ছা আছে, একদিন স‍্যারের কবর জিয়ারত করতে যাবো। ইনশাআল্লাহ!

Mohammad Nafiz Riaduzzaman Badhon: শেষবার আমিও গিয়েছিলাম হাসপাতালে মামুন ভাইকে দেখতে। আম্মু আর ওয়াহাব চাচীর সাথে। মামুন ভাই সেদিনও আমাকে একটা চুয়িংগাম দিয়েছিলেন। সেই দিনের কথা আজ আবার মনে করিয়ে দিলেন মোজাম্মেল ভাই। মামুন ভাই ভালো থাকুন ওপারে। অনেক ভালো।

Khaled Morshed: অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। হারুন স্যার, মামুন, আমিন… ক্যাম্পাস লাইফ…।

Mohammad Main Uddin: (এক) আমাদের মোযাম্মেল ভাই অনেক সুন্দর লিখেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্বের সাথে মিলিয়ে আবেগ ফুটিয়ে তুলতে পারেন। শাহজালাল হলে আমরা দু’জন ৫/৮ ও ৫/৯ পাশাপাশি দুরুমে অনেক দিন থেকেছি। ছাত্রজীবনে অনেক সুখ-দুঃখের সাথী। বেকার জীবনে চকবাজারেও বেশ কিছুদিন এক সাথে সময় কাটাতাম। এই মানুষটিকে তাই আমি কখনো ভুলতে পারি না। চবিতে এখন মাঝে মাঝে পেশাগত কাজে যেতে হয়। মোযাম্মেল ভাইয়ের সাথে দেখা না করে কিংবা একটা ফোন না করে আমি কখনো আসি না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি ১৯৯৫ সালে। তার আগ পর্যন্ত চকবাজার ছিলাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সার্টিফিকেট উঠানো ও মার্কসীট ইংরেজী করার কাজ চট্টগ্রাম থাকাকালে করা হয়নি। ১৯৯৮ সালে কোনো এক ছুটিতে রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়ী ফেনীতে এলে চাচাতো ভাই হেলাল প্রস্তাব দিল– চলেন ভাইয়া মূল সার্টিফিকেট নিয়ে আসি। ও তখন পাশ করে উত্তরা ব্যাংকে জয়েন করেছে। সেও শাহজালাল হলের বাসিন্দা ছিল। আমার সাথে হলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী পড়ার কারণে তার হল জীবন দু’বছর বেশী।

সার্টিফিকেট তোলার কাজ শেষ করে দু’ভাইকে মোযাম্মেল ভাইয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসের বাসায় মেহমান হতে হল। মাহজুবা আমাদের দু’জনকে পেয়ে এতই উচ্ছসিত যে তাকে অনেক রাত পর্যন্ত গল্প শুনাতে হয়েছে। পর দিন মামুনকে মেট্টোপলিটন হাসপাতালে দেখতে যাওয়া ও তার জন্মদিন পালন করার পরিকল্পনা মোযাম্মেল ভাই ও মিতুল আপা রাতেই গ্রহণ করেন। আমরা তাদের সাথী হই। মামুন ও আমিন দু’ভাই আমার স্যারের ছেলে। হারুন স্যার হিসাববিজ্ঞান বিভাগে আমার সরাসরি শিক্ষক। ১৯৮৬ সালে আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, ক্যাম্পাসের মানিকজোড়া এ শিশু দুটিকে দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। হারুন স্যার উত্তর ক্যাম্পাসে খেলার মাঠের উপরের বাসাগুলোর একটিতে থাকতেন। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ ক্যাম্পাসের সকলেই এবং হলের ছাত্ররাও মামুন-আমিন দু’ভাইকে তাদের ভদ্রতা, বিনয় ও উত্তম ব্যবহারের কারণে চিনতেন। একবার ভিসি মোহাম্মদ আলী স্যারের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে কোনো একটি প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করছিলেন প্রফেসর বদরুল আমিন ভূঁইয়া স্যার। তিনি প্রোগ্রামের শুরুতে ঘোষণা দিলেন– এখন কুরআন তিলাওয়াত করবে আমাদের ছোট ভাই মামুন। মামুন-আমিন দু’ভাইই প্রোগ্রামে ছিল। কিন্তু দু’জনেই ছিল হাফ প্যান্ট পরা। তাই অন্যজনকে দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করানো হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসে তখন এ ছোট বাচ্চা দুটি ভালো কুরআন তিলাওয়াত করে– এ ধরনের ইমেজ গড়ে উঠার কারণেই স্যার মামুনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

(দুই) মামুনের জন্মদিন পালনের জন্য মোযাম্মেল ভাই একটি ফ্রুটকেক কিনে এনেছিলেন। কেক কেটে আমরা একসাথে খেয়েছি। মামুনের সাথে অনেক গল্প করেছি। তাকে সেদিন দেখে বুঝতেই পারিনি কয়েকদিন পর মামুন এ দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যাবে। মামুন বলেছিল, সে প্রতিদিন একটি ডায়েরী লিখতেছে। মামুনের ডায়েরীটি পড়া হয়নি। হারুন স্যারকে কখনো জিজ্ঞাসাও করা হয়নি সে ডায়েরীটার কথা।

মামুন ও আমিন থেকে বিদায় নিয়ে মেট্টোপলিটন হাসপাতাল থেকে আমি ও হেলাল বিকেলে বের হই। মোযাম্মেল ভাই হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ফলের দোকান থেকে এক কেজি আপেল ও এক ডজন কমলা কিনে আমার হাতে দেন। বললাম ভাই, আপনিও চাকুরী করেন, আমিও করি। দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমাকে ফল কিনে দিতে হবে কেন। কিন্তু উনি কোনো যুক্তি শুনতে নারাজ। অগত্যা ফলের প্যাকেট দু’টি নিয়ে ফেনী চলে আসি। রাজশাহী ফিরে আসার কয়েকদিন পর প্রিয় মামুনের ইন্তিকালের খবর পাই। তখনো মোবাইল ফোন চালু হয়নি। তাই সঙ্গে সঙ্গে খবর পাওয়া সম্ভব ছিল না। মামুনের ইন্তিকালে প্রিয় হারুন স্যারের মানিক জুটি ভেঙ্গে যায়। স্যার সে থেকে কত কষ্ট বুকে নিয়ে চলেন স্যারকে দেখলেই বুঝতে পারি। আল্লাহ মামুনকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদায় রাখুন। স্যারের পরিবারের উপর রহমত বর্ষণ করুন।

Mohammad Mozammel Hoque: কেন এবং কীভাবে এই স্ট্যাটাস বা স্মৃতিচারণের সূত্রপাত: সেদিন ফ্যাকাল্টি থেকে আসার পরে দুপুরে “যখন থামবে কোলাহল…” গানটা শুনছিলাম আর নিজেও গানের সাথে গলা মিলাচ্ছিলাম। আমার গান গাওয়ার আওয়াজ শুনে আমার ছোট মেয়ে রাহনুমা দরজা খুলে আমার দিকে অর্থপূর্ণ হাসি দিয়ে বললো, “কী ব্যাপার…?” আমি বললাম, “এটা তোমার মামুন মামার প্রিয় গান। এজন্য আমারও প্রিয় গান।” ও অবাক হয়ে জানতে চাইলো, “মামুন মামা? এটা কে? আমি তো চিনি না।” তখন আমি বুঝতে পারলাম, আসলে মামুনের সাথে তো রাহনুমার দেখাই হয় নাই। কারণ, ওর বড়জন মাহজুবাহ’ই তখন ছিল অনেক ছোট।

এরপর ওকে মামুনের ঘটনাটা বললাম। ওর চোখ পানিতে টলটল করছিল। আমিও খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম, রুমের দরজা বন্ধ করে খানিকটা কাঁদলাম। তখনই ভাবলাম আজকে মামুনের কবর জিয়ারত করতে যাবো।

সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন অফিসে চাকরি করে মোহাম্মদ আলী নামের একটা ছেলে। শ্যামলা করে। ওর বাবা ও কর্মচারী ছিল। উত্তর ক্যাম্পাসে থাকে। ওর সাথে ফোনে কথা বললাম যাতে করে ও সেন্ট্রাল মস্কের ওখানে গিয়ে আমাকে মামুনের কবরটা দেখিয়ে দেয়।

এরপর যা কিছু তা তো আমার লেখার মধ্যেই আছে।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *