বিশিষ্ট পরিব্রাজক সৌরভ আব্দুল্লাহর আগ্রহে, বউ বাড়ি যাওয়ার কারণে শুক্রবার বাসায় থাকার বাধ্যবাধকতা হতে রেহাইপ্রাপ্ত জনাব মাসউদুল আলমের সম্মতি পেয়ে আজ বয়স ভুলে যাওয়ার একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম।

সাড়ে দশ ঘণ্টায় স্কুটি বাইকে আনুমানিক পৌনে দুইশত কিলোমিটার ভ্রমণ।

উত্তর চট্টগ্রামে রাবার বাগান দেখার পরে পাহাড়ের উপর দিয়ে ২২ কিলোমিটার পথ থ্রিলিং জার্নি। এরপর মীরসরাই হতে ভাটিয়ারী হয়ে চবি ক্যাম্পাসে ফিরে আসা।

রাবার বাগানে মাটির রাস্তায় বাইক নিয়ে ঘুরেছি মাইলের পর মাইল। বান্দরমারা নামক জায়গায় মুসাফির হিসেবে আতিথ্য গ্রহণ করেছি এক পরিবারের। উনাদের তিন মেয়ে এক ছেলে। সাজেদা, সুলতানা, সুরাইয়া আর আবদুল। বড় মেয়েটি বিবাহিত। তাদের জীবন ছিমছাম, সুন্দর। তারা নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষ।

রাবার বাগানের সৌন্দর্য বড় নিষ্ঠুর। স্বাধীনতার পরে জায়গা লিজ দিয়ে রাবার বাগান করা হয়েছে। আগে সেখানে ছিল ব্যাপক জীববৈচিত্র্য। লোকাল লোকদের কাছ হতে শুনেছি। এখন পুরো এলাকা বন্যপ্রাণী শূন্য। এমনকি সেখানে কোনো পাখিও দেখি নাই।

পার্শ্ববর্তী তারাকো রাবার ফ্যাক্টরিতে অভিজ্ঞতা হলো, রাবারের ঘ্রাণ খুব বাজে। সৌরভ তো রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। পরে বলেছে। বাগানের মধ্যে অবশ্য তেমন কোনো ঘ্রাণ পাওয়া যায় না। আমার মনে হয়, ইউক্যালিপটাস ও একাশী গাছের ঘ্রাণের মতো, মানুষেরা বুঝতে না পারলেও প্রাণীদের জন্য তা যথেষ্ট ক্ষতিকর।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক পেইজের জন্য পছন্দনীয় প্রো-পিক তুলে দিতে পারলে দুইশত টাকা সম্মানী দেয়া হবে, এই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মাসুদ আর সৌরভ আমার অনেকগুলি ছবি তুলছে।

আশা করি, ছবি আর ভিডিওগুলি দেখতে দেখতে ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। শুভরাত্রি।

ছবি ও ভিডিওর ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *